সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আলোচিত একাধিক ভিডিওতে পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার লাশের স্তূপ করে রাখা ও জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মুঈন।আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানা পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ। কমিটিতে এডিশনাল এসপি ও ডিএসবি কর্মকর্তার সমন্বয়ে চার সদস্যবিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মুঈন বলেন, ‘যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের জায়গা থেকে যা করণীয়, তা আমরা করছি। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন।
আমরা সবার সহযোগিতায় পেয়ে গেছি কারা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কারা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নামগুলো প্রকাশ করছি না। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে প্রকাশ করা হবে।’আহম্মদ মুঈদ বলেন, ‘যেগুলো ভিডিও এসেছে সেগুলো দেখেছি, তবে ফিজিক্যাল অ্যাভিডেন্স এখনো পাইনি।
এগুলো নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই গতকাল একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। আশা করছি, খুব ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।’জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে অপরাধী, সে যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
পুলিশ আইনের বাইরে নয়। শুধু ছাত্র-জনতা না, আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকেও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ হত্যার মামলাও হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্যানে লাশের স্তূপের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে থাকা লাশের ওপর নিক্ষেপ করছেন। ভিডিওটির শেষের অংশে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়। ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় যুবলীগের আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার সামনেই।আরেকটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, আশুলিয়া থানার সামনে একটি পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা তা ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন।