মাগুরায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নির্যাতন ও হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

Loading

আশরাফ হোসেন পল্টু,মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের বাখেরা-মকরদ্দমখোলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নানাবিধ নির্যাতন ও হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ।

সব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর রহমান মিল্টনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী এ সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় মকরদ্দমখোলা গোরস্থান এলাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও তার পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের মাধ্যমে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।

সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অসংখ্য নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সব্দালপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, আমি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আমরা এখনও স্বাধীনতা লাভ করতে পারিনি। আমরা বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। গত ১২ তারিখে আমার বাড়ির সামনে আমার ছোট ভাই ডলারের উপর হামলা করে মারাত্বক আহত করে । আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

মুশফিকুর রহমান মিল্টন তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা স্ব-পক্ষের শক্তি। বাংলাদেশ আওয়ামী পরিবার, আমরা এই গ্রামে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মনে হয় আজও আমরা স্বাধীনতা অর্জন করিনি। আমাদের উপজেলার ২১ জন রাজাকারের ১৩ জনই আমাদের গ্রামের। আমরা বিভিন্ন সময়ে তাদের দ্বারা লাঞ্চিত হচ্ছি। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে সেই স্বাধীনতা বিরোধীর একনিষ্ঠ সহচর ও দলে অনুপ্রবেশকারী সব্দালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম কদু। সর্বশেষ গত ১২ ফেব্রæয়ারি শনিবার বিকেলে এই পেটুয়া বাহিনী দ্বারা হামলার শিকার হয় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর পরিবারটি। এ সময় হামলার শিকার হয় আমার ছোটভাই মাগুরা আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মাগুরা জেলা যুবলীগের সদস্য ডলার মোল্লা। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত সব্দালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে সব্দালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্নই মিথ্যা বরং শ্রীপুর থানা পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের সামনে ডলার মোল্লা ও মিল্টন রহমান আমাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে।