মানিকগঞ্জে আলোচিত আব্দুর রউফ হত্যার রহস্য উদঘাটন’গ্রেপ্তার হলেন হেলেনা

Loading

স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আলোচিত আব্দুর রউফ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হোতা হেলেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করলেন র‌্যাব-৪ ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন, এ সময় তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ও মৃত আব্দুল রউফ পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

প্রায় চার বছর আগে হেলেনা বেগমের স্বামী শামসুল হক মারা যায়। এরপর হেলেনা বেগম সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গী এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরী নেয়। সে সময় মৃত রউফ গাছবাড়ী এলাকার একটি মুদি দোকান পরিচালনা করতেন। হেলেনা বেগম গার্মেন্টসে যাওয়া আসার পথে মুদি দোকানদার রউফের দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতো। এরই মধ্যে তাদের মাঝে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

‘এক পর্যায়ে তাদের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে ‘ তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও মনোমালিন্যে তৈরী হলে, গেল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেল থেকে রউফকে হত্যার পরিকল্পনা করে হেলেনা বেগম। পরিকল্পনা অনুযায়ী রউফকে রাতে পার্শ্ববর্তী গাজিখালী নদীর পাড়ে আব্দুস সামাদ মিয়ার লেবু বাগানে আসতে বলেন হেলেনা, এরপর রাত ১১টার দিকে রউফ লেবু বাগানে আসলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘনিষ্ঠ হওয়ার মাঝেই শীতবস্ত্র দিয়ে মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে আব্দুর রউফের মৃত্যু নিশ্চিত করে হেলেনা ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহটি দেখে সাটুরিয়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মৃতদেহ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তি ও ঘটনাস্থলে থাকা পারিপার্শ্বিক আলামত এবং তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত হেলেনা বেগমকে সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার দায় স্বীকার করেন।

নিহত রউফ সাটুরিয়া উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে।