যশোরের ঝিকরগাছা ইউপি সদস্যের অনৈতিক কর্মকান্ডে ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাচ্ছেন না গ্রামবাসী

Loading

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় গত ৩১/০৩/২০১৯ইং তারিখ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

ঐ উপজেলার নির্বাস খোলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে চলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত রেশনিং ব্যস্থায় ১০ টাকা দরের চাল-ডাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঐ ওয়ার্ডের মানুষ। ঘটনার সত্যতা জানতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট এই অভিযোগ করেছেন ঐ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

তারা সাংবাদিকদের বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বারের দায়িত্ব পান (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাথী আইনাল হক। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আইনাল হক ক্ষমতাসীল দল আওয়ামীলীগের ছত্র-ছায়ায় থেকে সে এলাকায় নানা ভাবে বিপরীতমূখী কার্যক্রম হাতে নেয়। প্রকৃত আওয়ামীলীগ সমর্থকদের উপর নানান ভাবে অত্যাচার চালাতে শুর করে। এতে করে সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হতে থাকে। সরকার কর্তৃক প্রদেয় ১০ টাকা দরের চাল বিতরনে ব্যাপক কারচুপী করে।

আওয়ালীগ সমর্থক এমন লোকজনদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত পন্থী ওয়ার্ডবাসীর এক তালিকা করে তাদেরকে রেশন কার্ড প্রদান করে চাল দিতে থাকে আইনাল মেম্বর। আগে থেকে রেশন কার্ড পাওয়া আ,লীগ সমর্থক ওয়ার্ডবাসীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে কার্ড ছিনিয়ে নেয়। ফলে ১নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ আ,লীগ সমর্থকেরা রেশনিং ব্যবস্থায় চাল সহ অন্যান্য সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত হয়ে চলেছে। আইনাল মেম্বারের এমন কুকীর্তি নির্বাসখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কানে পৌছালে চেয়ারমান বিষয়টি ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হন। বিষয়টি সুরাহার জন্য ঝিকরগাছার নির্বাহী কর্মকর্তা চেয়ারম্যান মেম্বারদের ডেকে গরীব এবং দুস্তদের একটি নামের তালিকা তৈরী করেন। তৈরীকৃত তালিকায় চেয়াম্যান নজরুল ইসলাম সহি দিলেও আইনাল মেম্বর সহি দিতে অস্বিকার করে। তালিকা মোতাবেক প্রকৃতদের মাঝে রেশন কার্ড পৌছালে মেম্বর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে সে বিপরীত পথ খুজতে থাকে। রেশন কার্ড পাওয়া গ্রামবাসীদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে রেশন কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং গ্রামবাসীদের বলে তোমরা যে রেশন কার্ড পেয়েছ তাতে তোমরা চাল পাবা না, এটা অফিস থেকে ঠিক করে আনতে হবে।

এর জন্য আইনাল মেম্বর প্রতিটি রেশন কার্র্ড ধারীদের নিকট ২০০০(দুইহাজার) টাকা খরচ হবে বলে দাবী করে। এতে কার্ড ধারী গ্রামবাসী প্রতিবাদ করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ইউপি সদস্য আইনালের স্মরনা পন্ন হলে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে তিনি সম্পুর্ন না স্বীকার করেন এবং সম্পুর্ন দোষ চেয়ারম্যান নজরুলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। অপরদিকে চেয়ারম্যানের ভাষ্যমতে আইনাল মেম্বর একজন(বিএনপি-জামায়াত) পন্থী সে আওয়ালীগের ছাত্র ছায়ায় থেকে এই কাজ গুলো করছে বলে তিনি দাবী করেন এবং প্রকৃত কার্ড ধারীদের মাঝে চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও আইনাল মেম্বর চাল আত্মসাত করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।

এদিকে এখনও পর্যন্ত ঐ ওয়ার্ডে রেশন কার্ড পাননি কিংবা রেশন কার্ড পেয়েও ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন না এমন ৩০-৪০ জনের নামের তালিকা আমাদের হাতে এসে পৌছায়েছে। তারা হলেন, লুৎফা রহমান-স্বামী আব্দুল করিম,নুর আলী-পিতা আবদুস সোবহান,কিটু হোসেন-পিতা আজিজুর রহমান,আনারুল ইসলাম-পিতা আনছার আলী,আলমগীর হোসেন- পিতা হাজের আলী,জরিনা বেগম-স্বামী জিয়া হোসেন,আছমা খাতুন- স্বামী ইসরাত আলী,মজনু-পিতা বাক্কার,তাইজেল-পিতা আফহার,হাচানুর জামান- পিতা আব্দুল মালেক,আহম্মদ আলী-পিতা জাদের মোড়ল,ফায়সাল ইসলাম-পিতা আফছার আলী,আলাউদ্দিন-পিতা গোলামবারী,আরজিনা খাতুন-স্বামী শরিফুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর আলম-পিতা হাজের আলী,রাহাদ বেগম-স্বামী আব্দুল খালেক,রকেয়া বেগম- স্বামী মহাম্মদ আলী,রোকসানা খাতুন-স্বামী আব্দুল আজিজ,বুলবুল খাতুন-স্বামী মহাসীন আলী,জালার উদ্দিন-পিতা এনায়েত আলী,আব্দুল ছাত্তার পিতা-মনি সরদার,এরসাদ গাজী-পিতা হান্নান,তবিবুর রহমান-পিতা ইদু খাঁ,আম্বিয়া খাতুন-স্বামী আব্দুল ছাত্তার,রাবিয়া-স্বামী মোঃ সহিদুল,নাসির-পিতা আবুল হোসেন,আলফাজ হোসেন-পিতা আরজান মুন্সী,ছায়ফাল ইসলাম-পিতা আফছার,কাশেম আলী-পিতা মৃত জোহর আলী গাজী,খাইরুল বিবি-স্বামী শফিকুল এরা সকলেই ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাস খোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রামের সচেতন মহল আশা করেন বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশু পদক্ষেপ গ্রহনের ব্যবস্থা নিবেন।