যশোরের শার্শায় হাত-পা বিহীন সন্তান জন্ম দিলেন এক মা ।

Loading

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: পৃথিবীতে সন্তান হলো পিতা-মাতার অমুল্য রতন।সে সন্তান কাঁনা,বোবা, ল্যাংড়া অথবা খোড়া যাই হোক কেন পিতা-মাতার কাছে সে সোনার চেয়ে দামি। কথাটি যেমন সত্যি তেমনি একটি হাত-পা বিহিন নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সারজিনা খাতুন(২২)নামের এক গর্ভধারিনী মা।

বুধবার (২৮ আগস্ট)সকাল ৮টার সময় শার্শার বাগআঁচড়া বাজারে জনসেবা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে এ প্রতিবন্ধী শিশুটির জন্ম হয়।সারজিনা খাতুন শার্শা উপজেলার বসতপুর গ্রামের হাসেম আলীর স্ত্রী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শিশুটি মুখ মন্ডল শরীর চেহারা সব ভালো তবে হাত এবং পা দুটি হয়নি।

শিশুটির চাচী জানান, বুধবার প্রসব বেদনা উঠলে সারজিনাকে বাগআঁচড়ার জনসেবা ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে সিজারিয়ান এর মাধ্যমে বাচ্চা বের করে আমার কাছে দিলে দেখি বাচ্চা চেহারা খুব সুন্দর তবে হাত এবং পা দুটি নাই।

এমন বিকলাঙ্গ শিশু কেনো জন্ম হয় সে ব্যাপারে জানতে চাইলে জনসেবা ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ও নবজাতক শিশু বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাঃ শহিদ হাসান জানান, এটি একটি জন্মগত ত্রুটি(ঈড়হমবহরঃধষ অহড়সধষু)যার নাম,ঈড়হমবহরঃধষ খরসন উবভবপঃ যার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায় নি।তবে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে,যেমন জিনগত সমস্যা, কিছু কেমিক্যাল ভাইরাস এবং কিছু (টেরাটোজোনিক)ঔষধ যদি গর্ভাবস্তায় সেবন করা হয় তবে এমন বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।

এ বিকলাঙ্গ শিশুটির চিকিৎসা কি জানতে চাইলে ডাঃ শহিদ হাসান জানান,এ ধরনের শিশুদের আত্মনির্ভরশীন হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম হাত পা (Prosthetics) ব্যবহার কিংবা সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।