যশোরের শার্শার পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র নির্যাতিত ।

Loading

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সরকারী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নবম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ মেহেদী হাসান সাগর(১৫)নির্যাতিত হয়েছে। স্কুল ড্রেস না পরার কারনে সাগরকে বেদম প্রহার করে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

সোমবার (৪/২/২০১৯ইং) তারিখ সকালে সাগর স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক এ ঘটনা ঘটায় বলে ঐ ছাত্রের পিতা মহিনুর রহমান কান্না কন্ঠে অভিযোগ করেন। ইট ভাটার শ্রমিক গরীব পিতাঃ মহিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন অভাব-অনাটনের কারনে স্কুল ড্রেস বানানোর জন্য সাত দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়।

দুই দিন যেতে না যেতেই শুধুমাত্র স্কুল ড্রেসের মধ্য শার্ট পরে স্কুলে যাওয়ার কারনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্লাস রুম থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলের ল্যাব রুমের মধ্য অমানবিক নির্যাতন করে। এর আগে অনেক ছাত্রকে এভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামে।

ছাত্রের পিতাঃ মহিনুর তার ছেলেকে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মÐলের কাছে নিয়ে যায়। ছাত্রের শরীরে তিনি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এ ব্যাপারে তিনি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে ছাত্রের পিতা মাতাকে আশ্বাস্থ করেন।

মোঃ মেহেদী হাসান সাগর নবম শ্রেনীর মানবিক শাখার ছাত্র। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ছাত্র সাগরকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের কারনে তার পিতা তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এর কাছে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আজ আমি স্কুলের কোন রুমে প্রবেশ করি নাই। এই কথা টুকু বলে তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তার পরেও অনেকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এধরনের শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনের কারনে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে বলে অনেক অভিভাবকরা জানিয়েছেন। নাম না বলার শর্তে কয়েকজন অভিভাবকবৃন্দ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কারনে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জেল পর্যন্ত খেটেছেন।