রাজধানীর জিনোম হাসপাতালে তালা

Loading

অনুমোদনের সনদ হালনাগাদ না করায় রাজধানীর জুরাইনে জিনোম হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে দিল ঢাকা মহানগর পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ বছর এবং বিপণন ব্যবস্থাপককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

লাইসেন্স ছাড়াই দিব্যি চলছিল জুরাইনের জিনোম হাসপাতাল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাতে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত নানা অনিয়ম ও অসংগতি পায়।

দেখা যায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে, অনুমোদনহীন ল্যাবে চলছে নানা পরীক্ষা। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নিয়মেরও নেই বালাই। হাসপাতালটির জিএম তিন বছর আগে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করার দোহাই দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১ বছর এবং মার্কেটিং ম্যানেজারকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। লাইসেন্স নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

ডিএমপি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক বলেন, ‘সেবা দেওয়ার নামে অর্থ, স্বাস্থ্য এবং জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি করেছে। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এই হাসপাতাল আমরা আপাতত বন্ধ করে দিচ্ছি। তারা লাইসেন্স না নেওয়া পর্যন্ত এটা বন্ধ থাকবে এবং তাদের আমরা আইনের আওতায় এনে এই হাসপাতালের যে জেনারেল ম্যানেজার তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মার্কেটিং ম্যানেজার ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’

অভিযানের সময় হাসপাতালটিতে সেবা দিচ্ছিলেন দু’জন চিকিৎসক। একটি ভুঁইফোড় হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।

প্রতিষ্ঠানটির এক চিকিৎসক বলেন, ‘একটা প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হবে এবং সেটা চেক করে প্র্যাকটিস করাটাই বৈধ।’

ডিএমপি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক বলেন, ‘তারা লাইসেন্সবিহীন একটা হাসপাতালে প্র্যাকটিস করে। এটা আইনত আসলে ঠিক নয়। তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানাব।’

ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানের সময় সেবা নিতে আসা রোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন।