রাণীশংকৈল পৌরশহরে বেওয়ারিশ কুকুরের তাণ্ডব শঙ্কিত পৌরবাসী

Loading

হুমায়ুন কবির রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পৌরশহরে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্যে অসহায় হয়ে পড়েছে পৌরবাসী।

কুকুর কামড়ের তাণ্ডবে ছাগলের মালিকেরা অতিষ্ঠ্য । শহরজুড়ে যেন চলছে কুকুরেরই আধিপত্য। বেওয়ারিশ কুকুরের দল পৌরশহরের প্রধান প্রধান আবাসিক ও সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

১২ অক্টোবর সোমবার পৌরশহরের শিবদীঘি যাত্রী ছাউনি জিরো পয়েন্টেসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ কুকুরের দল পাগলু অটোরিকশা ও অটোভেসহ বিভিন্ন দোকানের সামনে গাদাগাদি হয়ে পায়চারি করছে । অভিযোগ করে শান্তীপুরের ফলের দোকানদার ইসমাইল বলেন আমার পোষা ৮ থেকে ১০ হাজার মূল্যের একটি (খাসি) ছাগলকে কামড়িয়ে মেরে ফেলেছে সঙ্গবদ্ধ কুকুরের দল।

একই এলাকার ওয়ার্কসোপ দোকানদার (বাকপ্রতিবন্ধী) মুন্নাফের দুটো খাসি ছাগলকে কুকুর কামড় দিলে ১টি মারা গেলেও অপরটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তার স্ত্রী। সবজি ব্যবসায়ী জাবেদ জানান, কিছুদিন আগে কুকুরের একটি বেপরোয়া সঙ্গবদ্ধদল তার ৭ হাজার টাকা মূল্যের খাসি ছাগল মেরে ফেলে ।এতে রাগে অভিমানে বাড়িতে থাকা অবশিষ্ট বেশকিছু ছাগল বিক্রি করে দেন। পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাদেকুর ইসলাম জানান, পৌরসভার মাসিক মিটিং কুকুরের এ ভয়ংকর চলাফেনার বিষয়টি উত্থ্যাপন করেছি। এর মধ্যে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষও বাদ পড়েননি। ১০ থেকে১৫ জনকে কুকুর কামড়ানোর খবর রয়েছে স্থানীয় পৌরবাসীর মতে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছে বলে পৌরশহরের মুক্তা মার্কেটের দোকান্দার ফারাজুল জানান। সমগ্র পৌরশহর জুড়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধা। পৗরসভা প্রধান প্রশাসনিক অফিস সহায়ক ডালিম শেখ জানান, কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পৌর শহরসহ উপজেলাব্যাপী কুকুরের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অমানবিক হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না পেয়ে রোগী নিয়ে অনেকে পড়ছেন বিপাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন বরাদ্দ নেই। এসব রোগী এলে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।