শনিবার সকাল ৭টায় গুলশান থেকে সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

Loading

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে দেখতে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা।

শনিবার সকাল ৭টায় গুলশান থেকে দলটির নেতারা নোয়াখালীর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নারও নোয়াখালী যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে বিএনপির একটি সূত্র।

শায়রুল কবির খান বলেন, শনিবার বিএনপি নেতারা সুবর্ণচর যাবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনগত রাতে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর খোঁজ খবর নিতেই নেতারা সেখানে যাবেন।

ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।

এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান।

এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ করেন, এই বর্বরোচিত কান্ডে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই রুহুল আমিনকেই আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়ে দেন, গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ রেহাই পাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে।

তার প্রেক্ষিতেই বুধবার রাতে রুহুল আমিনসহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে গ্রেফতার ৭ আসামি হলেন সুবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্ল্যাহর ছেলে বাসু (৪০), জসিম, বুলু মাঝি, বেচুসহ অন্যরা ।

আর শুক্রবার ভোরে পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।