শার্শায় মসুর চাষ লাভের আশায় গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা ।

Loading

দেশের প্রধান একটি খাদ্যশস্যের মধ্যে মসুর ডাল অন্যতম।

মানব দেহে প্রচুর পরিমান আমিষের চাহিদা পুরণ করে এই মসুর ডাল। মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমান খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্য শক্তি, লোহ ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, শর্করা ইত্যাদি। তাই প্রতিদিন খাবার টেবিলে মসুর ডালের জুড়িমেলা ভার।
চলতি মৌসুমে যশোরের শার্শা উপজেলায় ব্যাপক ভাবে চাষ হয়েছে মসুর ডালের।

মাঠে মাঠে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজে ভরে গেছে মসুরের গাছ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি বছরে মসুরের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন এখানকার চাষিরা। তবে মসুর ডালের তুলনামুলক ভাবে দাম একটু কম থাকায় এবছর আশানারুপ ভাবে মসুরের চাষ একটু কম হয়েছে বলে জানা যায়। কৃষি নির্ভর ও চাষ যোগ্য উপজেলা হিসাবে দারুন ভাবে পরিচিতি রয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলা। রিপোর্ট করেছেন আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলাম।

গোটা বছর জুড়েই নানা রকম ফষল উৎপাদনে এই উপজেলার সুনাম রয়েছে। আর এখানকার চাষিদের কঠিন পরিশ্রম ও কঠোর পারদর্শিতার কারণে কৃষকরা প্রতিবছরই সুফল পেয়ে থাকে। ধীরে ধীরে শার্শার চাষযোগ্য ফসলের মধ্যে মসুর অন্যতম হলেও কমে এসছে এই মসুর চাষ। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ৭শ ১০ হেক্টর জমিতে মসুর চাষ হয়েছে। যা গত বছরের থেকে ১০ হেক্টর কম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি মসুর-৬, বারি মসুর-৭ ও বারি মসুর-৩ চাষ হয়েছে তবে এই উপজেলায় বারি মসুর-৩ চাষ বেশি হয় বলে জানা যায়।

মসুর (ডাল) এর চাহিদা বাজারে ব্যাপক হারে বলেই এই চাষের উপর এখানকার চাষিদের আগ্রহ অনেক বেশি। উপজেলার মসুর চাষিরা জানান, বাজারে মসুরের চাহিদা অনেক বেশি তাছাড়া দামও তুলনামুলক ভাবে কম না এজন্য এই চাষের উপর চাষিদের আগ্রহ একটু বেশিই দেখা যায়।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ শোতম কুমার শীল জানান, মসুর ডাল চাষের জন্য চষিদের একটু বেশি পরিচর্যা করতে হয়। ভালো ভাবে পরিচর্যা করলে ফলন ভালো হয় এবং ৯০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে মসুর ডাল ঘরে তোলা সম্ভব। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মসুরের ভালো ফলন হয়েছে। কোন প্রকার পোকার আক্রমন বা রোগ বালায় না হলে কুষকরা লাভবান হবে বলে আশা করছি। তাছাড়া উপজেলার মসুর চাষিদের সর্বদা পরামর্শ ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।