সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটিপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী-এখনো চলছে তার দুর্নীতি

Oplus_0

Loading

আবুল কালাম আজাদ: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই দুর্নীতি আর অনিয়ম করলেও বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষে আছেন এফবিসিসিআই, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেসিএক্স ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড জেসিএক্স বিজনেস টাওয়ারের ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়া যাওয়ার পরও তিনি বর্তমানে দেশে থেকেই তার দুর্নীতি অনিয়ম কর্মকান্ড ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন তার বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে। এই দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে আবারো প্রতিষ্ঠা করতে ব্যয় করছেন কোটি কোটি টাকা।
পেশায় তিনি একজন ব্রোকার হলেও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি ক্রয় বিক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এমনকি জমি বিক্রির পর বিকৃত সম্পত্তি মালিক কে না বুঝায়ি আবার নিজের দখলে নেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন যেসব মালিকেরা তাদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেও তারা সেই সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছেন না। এমনকি সম্পত্তিতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ঘরবাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

ইকবাল হোসেন চৌধুরী তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা ইকবাল হোসেন চৌধুরীর নামে ভয়ে মুখ খুলতে ও চাচ্ছেন না।

গেল ৮ জুলাই তারিখে, ১৯৬ জন সফর সঙ্গী নিয়ে চীন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শূন্য হাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন। ১ বিলিয়ন ইয়ানের আশ্বাস পেয়েছেন। ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়ে খালি ঝুড়ি নিয়ে ফ্রি ছিলেন তিনি, ‘এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তালিকা অনুযায়ী ইকবাল হোসেন চৌধুরী ১২৩ নাম্বার যাত্রী হিসেবে সফর সঙ্গী ছিলেন।

প্রশ্ন হলো একজন দালাল কিভাবে প্রধানমন্ত্রী সফর সঙ্গী হলেন? আর তিনি এখনো কিভাবে তার আধিপত্য বিস্তার করে আছেন? শুধু তাই নয় জানা যায় তিনি বসুন্ধরাতে যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমি বেচাকেনা করেছেন তার মূল হোতা এই ইকবাল হোসেন চৌধুরী । তার দাপটে ও সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কোনো সংবাদ কর্মীর কাছে মুখ খুলতে রাজি নন ভুক্তভোগীরা ,’তবে এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন চৌধুরীর এক সময়ের পার্টনার ব্যবসায়ী জানান, বসুন্ধরা এলাকায় কোন জমি ক্রয় করলে একটি ছাড়-বা অনুমোদন পত্রের প্রয়োজন হয়। যা ইকবাল হোসেন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা যায়। এই ছাড়-বা অনুমোদন পত্র নিতে হলে গুনতে হয় কোটি কোটি টাকা তারপরও মিলছে নাই ছাড়পত্র। ভুক্তভোগীদের দাবি এখনই এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন হাজারো বসুন্ধরাতে ক্রয় কৃত সম্পত্তির মালিকেরা।

আরেক আইটেল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান,প্রতারিত তিনি নিজেও ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেও পাননি ছার পত্র আর জমি। এখনো তাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দেখানো হচ্ছে ভয় ভিতি।
আরেকজন ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম জানান- আমি জমি ক্রয় করলেও এখনো তা বুঝে পাইনি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে তার ব্যক্তিগত নাম্বার- ০১৭৫৫০৬৬৬৬৬ বারবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি‌।