সাভারে আ,লীগ নেতা বাতেন হাজী বেপরোয়া, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

Loading

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার উপকণ্ঠ সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল বাতেন ভুমিদস্য চাদা বাজিসহ নানা অপকর্মে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এলাকায় সৃষ্টি করছেন ত্রাসের রাজত্ব।এলাকার গরিব দুঃখি নিরিহ আসহায় ব্যক্তিদের জমি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপুর্বক দখল করা এবং অন্যদের মালিকানা জমিতে বিনা অনুমতিতেই ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করে জোরপুর্বক টাকা আদায় করাসহ বিভিন্ন কারখানা থেকে চাদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে মুগড়াকান্দা এলাকার হাজী আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে।স্থানীয়রা বলেন, আব্দুল বাতেন এলাকার প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা কেহ। ফলে এলাকার সাধারন নিরিহ মানুষগুলো তার কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে।স্থানীয় কালু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, কিছু দিন আগে মধুমতি মডেল টাউনের পেছনে তার মালিকানা জমিটি আবদুল বাতেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপুর্ব দখল করে বাউন্ডারী র্নিমান করতে যায়। পরে এলাকাবাসির বাধার মুখে সবাই একজোট হয়ে ধাওয়া করলে সেখান থেকে পালিয়ে আসে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যাক্তি বলেন, মুগড়াকান্দা এলাকয় একটি অবৈধ টায়ার কারখানা, কয়লা কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানা থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের চাদা আদায় করেন আবদুল বাতেন ।
তিনি আরো বলেন, মুগড়াকান্দা এলাকায় অবৈধ চামড়া কারখানা বসিয়ে কারখানার মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাদা আদায় করেন।স্থানীয় কৃষক মোঃ আবদুল আলী বলেন, চামড়া কারখানার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় ফসলের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। এছারাও এলাকার পরিবেশে বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে।

আবদুল বাতেন এলাকার প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারনে কারখানা বন্ধের ব্যপারে কেহ কথা বলতে সাহস পাচ্ছেনা।

ফলে এলাকাবাসিরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের প্রতি কারখানা বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জানিয়েছেন।

এ ব্যপারে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হাজী আবদুল বাতেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী মোঃ কবির, মোঃ নাদির, মোঃ মকলেছ গংদের কে দিয়ে নিরিহ বিভিন্ন মানুষের জোরপুর্বক জমি দখল ও জমজমাট মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। মোঃ মুকলেছ কিছুদিন আগে মাদক মামলায় জেল থেকে ছারা পেয়ে আসছে। এছারও মোঃ নাদির মাদক সেবনের কারনে কয়েক বার মাদক আসক্তি কেন্দ্রে ভর্তি ছিলে।

এসময় তিনি আরো বলেন, সে এলাকায় কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ভুমিদস্য মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে দলেন ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে চলেছে। এখনই তাকে থামানো বা, দলীয় ভাবে ব্যবস্থা না নিলে ভবিস্যতে আরো বড় ধরনের অপকর্মের কারনে দলের ভাবমুর্তি ক্ষন্ন হতে পারে।

মুগড়াকান্দা এলাকার মোঃ রহিম বলেন, কয়েকদিন আগে আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আউয়াল মার্কেট এলাকায় ভাকুর্তা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রহমানের উপরে হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার ফেলে রেখে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

মুগরাকান্দা এলাকার মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন,গত দুইদিন আগে আবদুল বাতেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাতের আধারে তার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে ঘর বাড়ি ভাংচুর করে নগদ দশ লক্ষ টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।

ভাকুর্তা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ রহমানের উপরে হামলার ঘটনায় এক বিচারের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেন আবদুল বাতেন।