সাভারে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন (ভিডিও)

Loading

বিপ্লব সাভারঃ সাভারের দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে এই মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরেই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন মডেল মসজিদে। মডেল মসজিদ উদ্বোধনে সাভারে অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সাভার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাভার ও আশুলিয়াবাসীর পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। নিঃসন্দেহে সাভারবাসীর জন্য আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। জাতীয় জীবনেও ইতিহাসে দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একসঙ্গে এত মসজিদ কেউ তৈরি করেনি, যা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন ইসলামের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ খাদেম শেখ হাসিনা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলাম প্রচার ও প্রসারে এ এক অনন্য নজির। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ইসলামিক গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মসজিদের ব্যবহার আমাদের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যকেই মনেপ্রাণে লালন করেন আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এভাবে ইসলামের খেদমতে যেভাবে নিয়োজিত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তেমনি তার যোগ্য উত্তরসূরি তথা একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আমরা পেয়েছি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।

ডা. এনামুর রহমান মহান এই নেত্রীর হাত ধরেই আজ সাভার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ আটটি বিভাগের উদ্বোধন করা হলো ৫০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনি বলেন, আমার রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন।

স্থান নির্বাচন, সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাভারে এই নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটি নির্মাণে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, তাদের সবার প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

দৃষ্টিনন্দন এই মডেল মসজিদটিতে একসাথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সাত শতাধিক মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। মহিলাদের জন্যও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। বিদেশি সরকারের অর্থায়নে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটিতে বসানো হয়েছে দৃষ্টি নন্দন কারুকাজ। বসানো হয়েছে উন্নত মানের টাইলস ও মার্বেল পাথর। নিরাপত্তার জন্য মসজিদে বসানো হয়েছে সার্বক্ষনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চৌদ্দ কোটি টাকা ব্যায়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। দৃষ্টি নন্দন এই মডেল মসজিদটি দেখলে যেকারোর নজর কারবে।

এসময় ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনসহ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।