প্রচ্ছদ অপরাধ সাভারে পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকারী সহ চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

সাভারে পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকারী সহ চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

Loading

সাভারে পৃথক ঘটনায় একজন ছিতাইকারী ও চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এসময় ছিতাইকারীর কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও চোর চক্রের সদস্যের কাছ থেকে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

শনিবার সাভারের পৃথক স্থান থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সাভার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়,শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ভাকুর্তার ছুলাই মার্কটে দিদার নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন শিল্পী স্টুডিওতে ছবি তুলার নাম করে ভিতরে প্রবেশ করেন ছিনতাইকারী আবু বকর সোহাগসহ অজ্ঞাত আরো দুইজন।

ভিতরে প্রবেশ করার পরই ছিনতাইকারী সোহাগ দিদারকে জাপটে ধরে তার কাছে থাকা টাকা মোবাইল সহ সমস্ত কিছু বের করে দিতে বলে। পরে কিছুক্ষন ছিনতাকারীর সাথে দিদারের ধস্তা ধস্তি হয়। ধস্তাদস্তির এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী সোহাগ একটি সুইচ গিয়ার চাকু বের করে দিদারকে আঘাত করার চেষ্টা করলে দিদারের হাতে আঙ্গুলে রক্তাক্ত যখম হয়। এসময় দিদারের আর্তচিৎকারে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে দিদার সাভার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বিষেশ অভিযান চালিয়ে সোহাগ নামের ছিনাতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে।

অপরদিকে, কর্ণপাড়া এলাকা থেকে মোঃ ইয়াছিন ওরফে বুলেট নামের চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানান,চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ রাত আটটা থেকে ২৮ মার্চ সকাল সাটটার পর্যন্ত একই সময়ের মধ্যে সাভার কর্ণপাড়া এলাকার রয়েল সিটি হাউজিংয়ে এন আর ফ্যাশন এবং এক্সেসরিজ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেন্টিলেটরের ফ্যান খুলে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোর সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে সেখানে থাকা ১টি সিপিইউ, ১টি এইচপি মনিটর, ১টি এইচপি ব্রান্ডের ল্যাপটপ, ১টি ৩২ ইঞ্চি র‍্যাংস টিভি, ৪টি এসির পিতলের পাইপ চুরি করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়টি নিয়ে থানা অভিযোগ করলে বিষেশ অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্তের সদস্য বুলেটকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় চুরি হওয়া ১টি সিপিইউ, ১টি এইচপি মনিটর, ১টি এইচপি ব্রান্ডের ল্যাপটপ, ১টি ৩২ ইঞ্চি র‍্যাংস টিভি উদ্ধার করা হয়।

এব্যপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুয়েল মিঞা বলেন,গ্রেপ্তারকৃত দুজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।