মানিকগঞ্জের সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স অপব্যবহারে দূর্ঘটনায় অচল-অফিস ফাঁকির অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

Loading

এফ,এম,ফজলু (মানিকগঞ্জ) সিংগাইর প্রতিনিধিঃ সিংগাইর উপজেলার একমাত্র উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই করে থাকে।

রোগীরা সাধারণত কিছুুুু হতে না হতেই এই হাসপাতালেে ছুটে আসেন।

জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্ব থাকা ডাক্তার, সঠিক বিবেচনায় অনেক রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি করেন, রোগীর অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রোগের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এই এম্বুলেন্সে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই এমপি মমতাজ বেগম কিছু দিন আগে আরেকটি এম্বুলেন্স দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।

এ দুটি এম্বুলেন্স পেয়ে স্বস্তি ফিরিয়ে আসে
হাসপাতালে। কিন্তু এ স্বস্তি আর বেশি দিন মেয়াদি হলো
না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সেকেন্দার আলী মোল্লা বদলী হয়ে যাওয়ার পর এ হাসপাতালে প্রথম মহিলা এমবিবিএস, বিসিএস( স্বাস্থ্য) ডাঃ ফারহানা কবির যোগদান করেছেন।

মহিলা ডাক্তার ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা বাংলা মটর বাসস্ট্যান্ডের কাছে সরকারি কোয়াটার টগর ভবন হতে সিংগাইর কর্মস্থলে আসেন।

এখন প্রশ্ন হলো তিনি কিভাবে আসেন। গণ পরিবহনতো বন্ধ লক ডাউনে এর সময় সেকেন্দার আলী মোল্লা হাসাপাতালের আবাসিক বিল্ডিং থাকতে দেখা যেতো।  কিন্তু ডাঃ ফারহানা কবীর হাফ ডিউটি করেই পরিবারের নিকট চলে যান, অনেকেরই মনে আরেকটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, ডাঃ সেকেন্দার আলীর সময়ে সরকারি ভাবে এই কর্মকের্তার জন্য একটি গাড়ি দেয়া হয়েছিল ।

বর্তমানে সেই গাড়িটি থাকতেও কেন ডাঃ তাহার ব্যক্তিগত কাজে ,ব্যবহার করছেন রোগীর জন্য বরাদ্দ দেয়াা এম্বুলেন্স টি ।

আসল কথায় আসা যাক, এম্বুলেন্স কিভাবে কোথায় কেন এক্সিডেন্ট করেছে এ বিষয়ে ফারহানা কবীরকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি জানান ,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর
প্রধান সহকারী মোঃ মশিউর রহমান এর কাছে ফাইলে বিস্তারিত আছে, প্রধান সহকারী দপ্তরে গিয়ে ফাইলে দেখা যায় গত ১লা ফেব্রুয়ারিতে এই এম্বুলেন্সটি সাভার উপজেলাধীন তুরাগ ব্রীজের কাছে বাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে এক্সিডেন্ট করেছে । সেখানে কোন সময় উল্লেখ নেই, বাসের পরিচয়ও নেই, নেই কোন মামলা বা অভিযোগ।

দূর্ঘটনার শুরুতেই চুক্তিভিত্তিক টাংগাইলের ড্রাইভার বাবুকে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি হা না কিছুই
না বলে মেডামকে জিজ্ঞেসা করতে অনুরোধ করেন।

এই মহান দ্বায়িত্ব পালনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও
অনেক অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্টাফদের কাছ থেকে। তিনি ৫ই অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে যোগদানের পর হতেই সরকারি ডিউটি টাইম পুরো করে
অফিস করেনি বলে জানিয়েছে অনেকে।

হাসপাতালের মসজিদের পূর্ব পাশে অচল এম্বুলেন্সটি পরে আছে, যেহেতু তিনি এম্বুলেন্স ব্যবহার করা পছন্দ করেন সেই ধারণা হতে নতুন এম্বুলেন্সটিও ব্যবহার করছে কি না ড্রাইভার আঃ বাতেনকে জিজ্ঞেসা করিলে তিনি জানায়, হ্যা মেডাম মাঝে মধ্যেই এটা নিয়ে ও ঢাকা যাতায়ত করেন। এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অনেকে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আনোয়ারুল আমিন আখন্দকে জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য মোবাইলে পাওয়া যায় নি।