যৌতুকের দাবিতে বেধড়ক মারপিট করে দির্ঘ দিন তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিয্গো করেছে আলেয়া খাতুন নামে (২৫) এক গৃহবধু। আলেয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন তার স্বামী তাকে প্রায় মারপিট করত, যৌতুকের দাবিতে। তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে তার স্বামী।
এরই মধ্যে সে যৌতুকের লোভে আরো দুটি বিয়ে করে। আমাকে আমার স্বামী রিপন মাঝে মধ্যে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ফেরত আসতে বলে। আমি গরীব অসহায় পরিবারের একজন মেয়ে। আমার বাবা একজন কৃষক। তিনি এত টাকা কোথা থেকে দিবে।
আলেয়া খাতুন আরো জানায় ২০০৮ সালে তার বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের নজিবুল্লাহর ছেলে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রিপন এর সাথে। এরই মধ্যে তার এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয় রিপনের ঘরে। সন্তান হওয়ার পর থেকে রিপন আমাকে মারপিট করে আরো বেশী করে যৌতুকের দাবিতে। আমি তার দাবি মত তাকে ৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় সে আমাকে প্রায় দুই বছর পিতার বাড়িতে রেখে দিয়েছে। আমার বিয়ের পর সে আমার পিতার নিকট থেকে নগদ একলাখ টাকা সহ সংসারের অন্যান্য জিনিস পত্র নিয়েছে। এসব দেওয়ার পরও সে আমাকে নেশা করে এসে শারীরীক ভাবে নির্যাতন করে । আমি কয়েকবার তার নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছি।
আমি প্রশাসন সহ সকল সচেতন মহলের কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।