৩৮ দিন পর আবারও বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে চালু হলো আমদানি-রফতানি বানিজ্য

Loading

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি: বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে চালু হলো আমদানি বানিজ্য। করোনা ভাইরাসের কারনে ৩৮ দিন বন্ধ ছিল ভারত বাংলাদেশের আমদানি রফতানি বানিজ্য।বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে তিন টার সময় বেনাপোল পেট্রাপোল এর লিংক রোডের নোম্যান্সল্যান্ডে প্রথম পচনশীল পন্য ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশী ট্রাকে লোড করা হলো।পন্য চালানের মধ্যে ছিল ভুট্রা ১০ টন,পাটবীজ ও মেসতাবীজ ২৫ টন ও পান ১২ টন। পন্য চালান গুলোর বাংলাদেশের আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান উৎস এন্টারপ্রাইজ। এবং ভারতের রফতানি কারক প্রতিষ্ঠান বন্ধন এগ্রো। সিএন্ডএফ এজেন্ড ডিএসইম পেসকো ও সোঁনারগাও নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।

আমদানি কারক উৎস এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী উজ্জল রায় জানান,৩৮ দিন আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকার পর আমদানী বানিজ্য চালু হলো। সময় মত আমাদের এ পচনশীল মাল যদি গন্তব্যে পৌছাতে না পারি তাহলে লোকশান গুনতে হবে।

বেনাপোল কাস্টমস এ,আর,ও শামিম হাসান বলেন, আজ আবার আমদানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। পচনশীল পন্য ভুট্রা, পাটেরও মেসতা বীজ এবং পান জাতীয় পন্য এসেছে। এগুলো বন্দরে নিয়ে আজই পরীক্ষন শেষে শুল্কায়ন করা হবে। এবং শুল্কায়নের পর পন্য গন্তব্য নিয়ে যাবে স্ব স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বেনাপোল বন্দরের উপ- পরিচালক মামুন কবির তালুকদার জানান. আমরা বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিছু আমদানি পন্য নিয়ে আসতে পেরেছি। এরপর আস্তে আস্তে আরও পন্য বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজারের উপর পন্যবাহি গাড়ি আটকে আছে আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিয়ে আসব। যারা এখানে কাজ করছে তাদের মাস্ক ও পিপির ব্যবাস্থা করা হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্য কর্মীরা রয়েছে ।

গত ২২ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারনে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা সাড়ে তিনটার সময় বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রথম কয়েকটি পন্য চালান এলো ভারত থেকে বাংলাদেশে। তবে ভারতীয় কোন ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে নাই। লোড আনলোড হয়েছে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে।

এসময় বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, পুলিশ সহ সরকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্তার লোক উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে পন্য চালান লোড আনলোডের সময় ভারতীয় নিরাপপ্তা বানিহীর বিভিন্ন সংস্থা উপস্থিত ছিলেন।