বিশ্ব রেড ক্রিসেন্ট ও রেড ক্রস দিবস আজ

Loading

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : আজ ৮ মে, বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আকারে দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার (৮ মে) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দফতরে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের ৬৪ জেলার ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করবেন।

এ দিন সকাল ৯টায় জাতীয় ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য, মহাসচিব, উপমহাসচিব, সোসাইটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।

১৮২৮ সালের এই দিনে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও বিশ্বের অন্যান্য জাতীয় সোসাইটির ন্যায় যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালন করছে।

রেড ক্রিসেন্টের পক্ষে আরও জানানো হয়, এবারের ২০২১-এর বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসের থিম ‘অপ্রতিরোধ্য’। সবাই মিলে একত্রে এই পৃথিবীকে আরও সংরক্ষিত এবং আরও শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি ও চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে, এ ব্যাপারে আমরা অপ্রতিরোধ্য হিসেবে কাজ করে যেতে চাই ।

এই কোভিড মহামারির শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার নতুন স্বেচ্ছাসেবক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের সঙ্গে একত্রিত হয়েছেন, সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিজের পাশের বাসায় থাকা মানুষটির জরুরি প্রয়োজনে বা এলাকাবাসীর সাহায্যার্থে।

সবাই মিলে একত্রিত থেকে যেমন মোকাবিলা করছেন করোনাকালীন সময়কে, সেই সঙ্গে আরও অন্যান্য দুযোর্গ (যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গত বছরে ঘূর্ণিঝড় আম্পান, বন্যা) কালীন নিজ নিজ এলাকার জনগোষ্টির পাশে থেকেছেন তারা, যখন যেভাবে পেরেছেন, নিঃস্বার্থভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা ১৯২টিরও বেশি দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বড় শহরগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নানান ধরনের মানবিক সহায়তা। সেই সঙ্গে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে মানবতার শক্তি অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য।