বাজার কমিটির ঘর খুড়ে কংকাল না পাওয়ায় বেনাপোলবাসীর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ।

Loading

বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র ও ছাত্রলীগের সভাপতি তারিকুল আলম তুহিনের নিখোজের অর্ধযুগ পার হলেও তাকে যে কোন অবস্থায় খুজে পাওয়ার আসায় বেনাপোল বাসীর দাবি পুরন হয়নি।

মঙ্গলবার(১২/০৩/১৯ইং)তারিখ তরিকুল আলম তুহিনের লাশের কংকাল সন্দেহে বেনাপোল বাজার কমিটির কার্যালয়ে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা খুড়াখুড়িতে বেনাপোলবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেক মন্তব্য করেছেন আমরা তুহিনের সন্ধান চাই; কিন্তু উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কোন কিছু চাই না। তুহিনকে খোজার বা তার নিখোঁজ হওয়ার কারন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হোক তা আমরা চাই না। আমরা সঠিক তদন্ত মোতাবেক আসল অপরাধিকে খোজ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সাথে সাথে এ ঘটনায় যাতে কোন নিরাপরাধ ব্যাক্তি ও জড়িত না হয় তার দাবি জানাচ্ছি।

বেনাপোল বাজার সুত্রে জানা গেছে, বর্তমান বাজার কামিটির যে ঘরে তল্লাশি করা হয়েছে সেই ঘরটি ২০১৩ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত তৃপ্তি নামে একটি হোটেল ছিল। তৃপ্তি হোটেল চলে যাওয়ার পর ঐ ঘরে একটি ফার্নিচারের দোকান উঠে। এরপর ঐ দোকান বেশীদিন সেখানে থাকে নাই। ৭/৮ মাসের ভিতর ফার্নিচার দোকান উঠে যায়। এরপর বাজারের খাস জমির ঐ ঘর নিয়ে বেনাপোলের দুইজন ব্যবসায়ির মধ্যে বিরোধ চলে। এর জের ধরে বেশ কিছুদিন ঘরটি বন্ধ থাকে ।

এরপর ২০১৬ সালের প্রথমদিকে ঐ ঘরটি ছাত্রলীগের অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ছাত্রলীগের অফিসটি আনুমানিক ৭/৮ মাস চলে। এরপর বর্তমান বাজার কমিটি ঘরটি ব্যবহার করে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, প্যানেল মেয়র তারিকুল আলম তুহিন ২০১৩ সালের ৭ ই মার্চ ঢাকার ন্যাম ভবনের সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। তার নিখোঁজের বিষয়টি ঢাকা থেকে হলে কিভাবে ঐ সময় বেনাপোল আসল তাও ক্ষতিয়ে দেখার বিষয়। তুহিন নিখোঁজ এর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তার সন্ধান বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান সাধারন জনগন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের সহিদ হোসেন নামে এক ভদ্রলোক বলেন, তদন্তের সার্থে বাজার কমিটির ঘর খোড়া হয়েছে ঠিক আছে কিন্তু ভবিষ্যতে এরকম খোঁড়াখুড়ি করার নামে যেন কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি হয়রানী শিকার না হয়।

উলে­খ্য গত ২০১৩ সালের ৭ মার্চ তুহিন ঢাকার ন্যাম ভবনের সামনে থেকে নিখোজের পর তারই চাচাতো ভাই সুমন মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত নামে একটি মামলা করেন। সেই মামলা এখন ঢাকা সিআইডিতে।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মানব বন্ধন, সভা সমাবেশ, অবরোধ, আন্দোলন, সংগ্রাম করেও এ পর্যন্ত তার কোন হদিস না পাওয়ায় প্রতিবছর ৭ মার্চ তুহিন নিখোঁজ দিবস পালন করা হয়।