যশোর জেলায় ১০৩ টাকায় স্বচ্ছতা ও নিজ যোগ্যতায় পুলিশ হলেন ২২৩ জন ।
মোঃ রাসেল ইসলাম: নানা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ২৭/০৬/২০১৯ তারিখে যশোর জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২২৩ জন পুলিশ কনস্টেবল। নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের দাবি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। নিয়োগ পেতে ব্যাংক চালানসহ ব্যয় হয়েছে মাত্র একশত তিন টাকা।
২৭/০৬/১৯ তারিখ বিকালে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসা নিয়োগ প্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল সেলুন কর্মচারীর ছেলে সাহেব আলী জানতো না যে তার মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সে বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে চলেছে। পুুলিশ সুপার মহোদয়ের কঠোর প্রদক্ষেপের কারনে শতভাগ স্বচ্ছ ও যোগ্যতার মাপ কাঠিতে এমন অনেক সাহেব আলীই নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে যশোর জেলার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হচ্ছে।
সাহেবআলীরমতযশোর জেলার কোতয়ালী,চৌগাছা,ঝিকরগাছা,শার্শা,বেনাপোল,কেশবপুর,মনিরামপুর,
অভয়নগর ও বাঘারপাড়া থানার অনেক কৃষক,শ্রমিক,রিক্সাচালক,সেলুন কর্মচালীর সন্তানেরা কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে।
এ সবিই সম্ভব হয়েছে কর্মঠ,শতভাগ পেশাদায়িত্বের প্রতি যশোর জেলা সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মঈনুল হক,বিপিএম-বার,পিপিএম এর সুযোগ্য নেতৃত্বেও কারণে। এই নিয়োগ যশোর জেলার সকল মানুষের মুখে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি নিয়োগ এরুপ যোগ্যতার ভিত্তিতে হলে বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবীদের দ্বারা গঠিত হবে। পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে এবং সাধারন মানুষ পুলিশের নিকট হতে তার প্রত্যাশিত সেবা পাবে।
যশোর পুলিশ লাইন্সে গত ২২/০৬/২০১৯ তারিখ হতে ২৬/০৬/২০১৯ তারিখ পর্যন্ত কনস্টেবল পদে সাধারন কোটা(পুরুষ)১৬০৬ জন, সাধারন কোটা(নারী)১৯৩ জন,মুক্তিযোদ্ধা কোটা(পুরুষ)৯৯জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা(নারী)১৫জন, পুলিশ পোষ্য কোটা ২৫জন,আনসার ভিডিপি কোটা ৫ জন,এতিম কোটা ৭ জন সর্ব মোট ১৯৫০ জন শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেই। তার মধ্যে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছে ১০৬৯ জন।
২৭/০৬/২০১৯ তারিখে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সাধারন কোটা(পুরুষ) ১৩৬ জন, সাধারন কোটা(নারী) ৬০জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা(পুরুষ) ২১জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা(নারী) ২জন, পুলিশ পোষ্য কোটা ৪জন সর্বমোট ২২৩জন প্রার্থী প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়েছে।