স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
দেশের প্রথম সারির পত্রিকা ও অনলাইন মাল্টিমিডিয়ার ফটো ও মোবাইল সাংবাদিকরা জানান, ছবি ও ভিডিও সংগ্রহে বাধার সম্মুখীন
মসজিদের জমি বিক্রি করে হজ পালন, সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
আবুল কালাম আজাদ (বিপ্লব) : গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের খিলগাঁও এলাকায় মসজিদের জমি দখল ও বিক্রি করে হজ্জ পালন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই জমির ক্রেতা বাসির উদ্দিন সরকার জানান ১২/১৩ বছর আগে খিলগাঁও মৌজায় সিএস ও এস এ ৫২৩ দাগে ৭শতক জমি স্টেম্পের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা বায়নামূলে ক্রয় করেছিলাম। সালাউদ্দিন সবার কাছ থেকে দোয়া চেয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে হজ্জ পালন করতে গিয়েছিলেন। কথাছিল হজ্জ পালন শেষে দেশে এসে ওই জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দিবেন।কিন্ত অদ্যাবধি আমার টাকা ফেরত দেননি জমিও দেননি। টাকা ফেরত চাইলে আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন।পরে জানতে পারি মসজিদের দুই শতকসহ আমার নিকট ৭শতক জমি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বায়না করে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সালাউদ্দিন সরকার।
তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করে আমাকে দ্বারেদ্বারে ঘুরিয়েছেন।ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে সুবিধাভোগী সালাউদ্দিন সরকার রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে আমাকে পথে বসিয়েছে।জমিটি পূর্বাচলের পাশে থাকায় আমি আর্থিকভাবে কোটি টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।সালাউদ্দিননের বিরুদ্ধে বিগত দিনে সালিস বিচার করেছে এমন স্থানীয় নির্বাচিত তিন তিনজন কাউন্সিলর ছিলেন।তারা হলেন সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বাছির ও মোমেন মিয়া।
কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি।সে দাপট দেখিয়ে কারো বিচার মানেনি।সাবেক কাউন্সিলর মোমেন মিয়া জানান “সালাউদ্দিন প্রতারণা করে আমার আত্মীয় বাছির উদ্দিন সরকারের ১০ লাখ টাকা মাইরা দিছে”।
খিলগাঁও পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সরকার জানান স্বাধীনতার পর প্রায় ৫০ বছর আগে ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মকবুল নেছা ওয়াকফ করে দুই শতক জমি মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছিলেন।সেই জমিসহ স্টেম্পের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা বায়না করে হজ্জ পালন করেছেন তিনি।এখন ওই জমি কলা বাগান করে জোরপূর্বক ভোগ দখলে রেখে মসজিদের জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি।
মসজিদের সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী সরকার জানান আমার দাদী মকবুল নেছা দুই শতক জমি মসজিদে ওয়াকফ করে দিয়ে গেছেন।আওয়ামীলীগের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে মসজিদের জমিতে কলা বাগান করেছে সালাউদ্দিন।তাছাড়া শুনেছি নিরুদ্দেশ একজন বিমানবন্দরের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের ৭ শতাংশ জমির মালিকও আমমোক্তার নামা দলিলমূলে এখন সালাউদ্দিন সরকার।যেই দলিল দাতা মোশারফ নন।কিন্ত ওই দাগে মসজিদের জমিসহ ১৯শতক জমির ওপর কলা বাগান করে দখল করেছেন তিনি। আমরা মসজিদের জমি পুনরুদ্ধার করতে ও প্রতারক সালাউদ্দিনে সরকারের বিচার দাবি করছি।
মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন জানান অনেক বছর ধরে মসজিদের জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন তিনি।কিন্ত কেন? যতটুকু জানি তার জমির সাথে কারো জমি থাকলে তার আর রক্ষা নাই।
মসজিদের মুসল্লী ও এলাকার প্রবীণ ব্যাক্তি জামাল সরকার জানান খিলগাঁও মৌজায় সি এস ,এসএ ৫২৩ দাগের কিছু জমি আতা ড্রাইভারের থেকে মোশাররফ নামে একজনকে কিনে দিয়েছিলাম। সেই মোশারফের জমির মালিক এখন কীভাবে সালাউদ্দিন সরকার হলো সেটা বোধগম্য নয়।তবে শুনেছি মোশারফের খুঁজ মিলছেনা।এদিকে জমিতে থাকা মোশারফের ঘরবাড়ি ভেঙে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে সালাউদ্দিন সরকারের মোবাইলে কল দেওয়ার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শান্তি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
চমেক বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ, বৌদ্ধ চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ উদ্যোগে আজ ১০ মে শনিবার সকালে কলেজের কনফারেন্স হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার শুরুতে কলেজের নিউ একাডেমিক ভবন থেকে একটি শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি চমেক ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চমেক ডেন্টাল ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ও বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ডা. মনোজ কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ইউএসটিসির প্রাক্তন উপাচার্য, অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ জসিম উদ্দিন, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ তসলিম উদ্দিন, চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ আবদুর রব।
মুখ্য আলোচক ছিলেন মোগলটুলী শ্মশানভূমি শাক্যমুনি বুদ্ধ বিহারের মহাপরিচালক শ্রদ্ধেয় ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাথেরো৷ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রিপন কুমার বড়ুয়া।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফিজিওলোজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. দেবযানী বড়ুয়া, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষক বাবু বিশ্বজিৎ বড়ুয়া এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বৌদ্ধ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বড়ুয়া।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ লাবণ্য বড়ুয়া ও ধানসিঁড়ি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া, আই. এ. এইচ. এস এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রমা বড়ুয়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অনুপম বড়ুয়া, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের এনেস্থেসিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কল্যাণ কুমার বড়ুয়া, ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া, ডা. বসুবন্ধু বড়ুয়া, ডা. প্রীতিশ বড়ুয়া, ডা. প্রীতি বড়ুয়া।
এছাড়া ডা. বর্ণালী বড়ুয়া, ডা. ডেইজী বড়ুয়া, ডা. শ্রাবণী বড়ুয়া, ডা. সুদীপ বড়ুয়া, ডা. সুমিষ্ঠা বড়ুয়া, ডা. প্রসূণ বড়ুয়া, ডা. ঝুলন বড়ুয়া, ডা. শর্মিলা বড়ুয়া, ডা. সৈকত বড়ুয়া, ডা. মৃত্যুঞ্জয় বড়ুয়া, ডা. স্নেহাশীষ বড়ুয়া প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বৌদ্ধ ছাত্র সংসদের সভাপতি দীপান্বিতা বড়ুয়া।
আলোচনা সভার শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ, চিকিৎসক ও নার্সদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
তারুণ্যের সমাবেশে সাংবাদিক লাঞ্চিতের অভিযোগ!
স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
চট্টগ্রামে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ নিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। শৃঙ্খলার অভাব, কর্মরত ও মোজো সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ ওঠেছে ।
স্লোগান ও জনস্রোতের চাপে মঞ্চের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে পড়লে বিড়ম্বনায় পড়ে মহিলা দলের নেত্রীরা সমাবেশ ছাড়ে। এতে নেতাকর্মীদের হাতে সাংবাদকর্মীরাও অপমানজনক ও অশোভন আচরণের শিকার হন।
সরে জমিনে দেখা যায়, সমাবেশে মঞ্চের সামনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের জন্য নির্ধারিত আসন থাকা সত্বেও জ্যেষ্ঠ নেতারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনলেন বক্তব্য। মিছিল নিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে ভিড় করে চেয়ার সরিয়ে জায়গা দখল করে নেয়, ফলে জ্যেষ্ঠ নেতাদের দাঁড়িয়ে থেকে বক্তব্য শুনতে হয়। কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা মহিলা নেত্রীরা নিরাপত্তাহীনতা ও বিড়ম্বনায় পড়ে মাঝপথেই সমাবেশ ত্যাগ করেন তারা।
সমাবেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা স্বীকার করে বলেন, আয়োজক কমিটির কিছুটা শৃঙ্খলার ঘাটতি ছিলো।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, “শৃঙ্খলার ঘাটতি ছিল, তবে এটি নেতাদের অসম্মান নয়, বরং কিছুটা সাংগঠনিক ভুলের ফসল যা ভবিষ্যতের জন্য অশুভ লক্ষণ।”
এদিকে সমাবেশে সাংবাদকর্মীদের সঙ্গে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। দেশ রূপান্তর, খবরের কাগজ, বাংলানিউজ২৪, কালবেলাসহ একাধিক ফটো সাংবাদিকদের মঞ্চে থেকে ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি কয়েকজন ফটো সাংবাদিকের গায়ে ধাক্কা দেয়ার মতো অশোভন আচরণ করতেও দেখা যায়।
মোজো সাংবাদিকদের মধ্যে আজকের পত্রিকা, সিএইচডি, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ টাইমস, দৈনিক জনবানী, যায়যায়দিন, সিটিজি নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। অনেককে ‘অনলাইন সাংবাদিক’ বা ‘মোবাইল সাংবাদিক’ বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে হেওপ্রতিপন্ন করা হয় ।
এই ধরনের অশোভন আচরণে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বলেন “এটা শুধু পেশাগত দায়িত্বে বাধা নয়, বরং সাংবাদিকতার প্রতি অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।”
দেশের প্রথম সারির পত্রিকা ও অনলাইন মাল্টিমিডিয়ার ফটো ও মোবাইল সাংবাদিকরা জানান, ছবি ও ভিডিও সংগ্রহে বাধার সম্মুখীন
হয়েছে। এমনকি মঞ্চে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মোবাইল ফোনে ফুটেজ নিতে বাধা দেন এবং ‘মোবাইল সাংবাদিক’ বলে কটাক্ষ করেন।
একজন মোজো সাংবাদিক বলেন, “আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমাদের পেশাগত পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।”
চট্টগ্রামের স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় রাজনীতিক দলের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রতি এমন আচরণ দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন তারা।
বন্যার পূর্বাভাস বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
বন্যার সঠিক পূর্বাভাসের বিষয়ে সহযোগিতা পেতে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের জালালাবাদ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ঐতিহাসিক সময় হতে বন্যা হচ্ছে এবং বন্যা হবে। বন্যাকে আমাদের আটকানোর কোনো উপায় নেই, আটকানোর কোনো সুযোগ নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আমাদের আরও বাড়ছে। তবে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে এবং বন্যার আগাম সঠিক পূর্বাভাস পেতে হবে।’
পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন,
‘এখনো পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যে আলোচনা চলছে, তাতে মনে হচ্ছে পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তাদের ডাটায় প্রবেশ করতে পারবো। আর তাহলে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো’, যোগ করেন রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কয়েকটি জিনিসের উন্নয়ন করা দরকার। আমাদের নিজেদের ইনস্টিটিউশনগুলোকে ক্ষমতায়িত করার যে পদক্ষেপ, তাতে বিলম্ব করলে চলবে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. আব্দুর রব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব জাফরুর রেজা চৌধুরী। সেমিনারে সিলেট এলাকার বন্যার ঝুঁকি বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন বুয়েটের ইন্সটিটিউট অফ ওয়াটার এন্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ড. মাশফিকুস সালেহীন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফাইজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মো. আবদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে জালালাবাদ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খানকে সভাপতি এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ২ বছরের জন্য নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।