ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্থগিত বাইশাকান্দা কান্দাপটল কেন্দ্রের নির্বাচন পুনঃ ভোট গ্রহন আগামী ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। বলে জানিয়েছেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য – ধামরাই উপজেলায় গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১৪৮ টি কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচন সুষ্টু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হলেও একটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের নিজ এলাকায় কান্দাপটল কেন্দ্রে তার পক্ষে ওই কেন্দ্রেরই প্রিজাডিং কর্মকর্তা,মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও ধামরাই আমছিমুর সেসিপ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার বাদশা জাল ভোট দিতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে ধরা পড়ে গ্রেফতার হন।
এরই প্রেক্ষীতে ধামরাই উপজেলার ১৪৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৭ টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা হলেও ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে এবার চার জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গত ৩১শে মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল- ১৪৭ কেন্দ্র ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের সভাপতি মোহাদ্দেস হোসেন (আনারস প্রতীক)এক হজার পাচ শত পঁয়ষট্টি (১৫৬৫) ভোট বেশী পেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
আনারস প্রতীক নিয়ে মোঃ মোহাদ্দেছ হোসেন ৪০৫৬৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন-৩৯০০১ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (মিলন) পেয়েছেন ৮৩৪ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইনুর দল মশাল প্রতীকে প্রার্থী শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন মুন্নু পেয়েছেন ১২১ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা-৩২০২২৩জন। ভোট কাষ্ট হয়েছে-সর্বমোট ৮০৫২২ টি। এবারের নির্বাচনে ভোট বাতিল হয়েছে ৫৬৭টি, মোট ভোট কাষ্ট হয়েছে ৮১০৮৯ টি।
স্থানীয় ইউপি ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল আলীমসহ ও ফারুক মেম্বার সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, কান্দাপটল কেন্দ্রে ১৮৯১ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২০০ জন প্রবাসে রয়েছে। এমনকি কিছু মারাও গেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন প্রায় ৭৫ জন। এছাড়া সাভারের ডিইপিজেডসহ বিভিন্ন পোষাক কারখানায় আরো প্রায় ১৫০ জন চাকরি করেন। এতে হিসেব করলে দেখা যায়, ৪২৫ জন ভোটারের মধ্যে কিছু ভোটার বাদে অন্য ভোটাররা যদি অফিস থেকে ছুটি আনতে ব্যর্থ হয়ে ভোটের দিন অনুপস্থিত থাকেন তাহলে ১৪৬৬ ভোটের সবাই যদি নৌকা প্রতীকে ভোট দেন এরপরও বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেন তার বর্তমান প্রাপ্ত ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবার অন্য একটি হিসেবে বলা যেতে পারে সর্বপরি ১৮৯১ ভোটারের মধ্যে যদি ৮৩ পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হয় আর যদি সব ভোট নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমানের পক্ষে পড়ে তাহলে মিজান ভোট পাবেন ১৫৬৯ এবং তিনি নির্বাচিত হবেন।
না হলে মোহাদ্দেসই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। তবে বাস্তবে কত পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছে ধামরাইবাসী। এর ফলে ধামরাইবাসীর চোখ এখন কান্দাপটলে। তবে ৩১ মার্চ নির্বাচনে সারা উপজেলায় ২৫.২৬ পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হয়েছে।এই কেন্দ্রের ভোটারদের ভোটেই নির্বাচিত হবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এর ফলে এই কেন্দ্রের নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুপূর্ণ।