সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যুরোঃ ঢাকে কাঠি পরেগেছে,মা আসছে।সকল অশুভ শক্তি নাশ করতে মা আসছে ধরাধামে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ বৃহস্পতিবার। এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি অনুষঙ্গ হল এ মহালয়া। তবে এবারের পূজা হচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে। চারদিকে প্রকৃতি আপন সাজে সজ্জিত! কাশের দোলায়, শিউলির গন্ধে, হাল্কা রোদ আর মেঘের মেঘের খেলায় এবং সঙ্গে তো আছেই মনমাতানো বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের শ্বাশত কন্ঠে ‘ইয়া দেবী সর্বভূতেষু’!
করোনা আতঙ্কের আবহেই এবার দেবীপক্ষের সূচনা। আর মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই এবার হবে মাতৃবন্দনা। আজ ভোর সাড়ে ৫টায় দেশ বিদেশের বিভিন্ন চ্যানেল এ প্রচারিত হবে মহালয়া অনুষ্ঠান।
রাজশাহী সহ বাংলাদেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার আগমন ধ্বনি শুনতে পাওয়া গেলেও ৬ দিন পরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে না। এবার এ ধর্মীয় উৎসব হবে একমাস পর। আশ্বিন মাস মল (মলিন) মাস হওয়ার কারণে এবার দুর্গাপূজা শুরু হবে প্রায় একমাস পর ২১ অক্টোবর থেকে।
মূলত শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চণ্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার।
আর এ দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। ব্রম্ভার বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
মহালয়ার আরেকটি দিক হচ্ছে এই তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি