নিউজ ডেস্ক ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত ১ মে তারিখে গুরুতর করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভিরকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে চিকিৎসাকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়াড নামের ওষুধ কম্পানির আবিষ্কৃত ওষুধ, যা ইবোলার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর চীনে এবং আরো কয়েকটি দেশে ওষুধটি অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করে সুফল পাওয়া গেছে।
এ বছর পরিচালিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও ভালো ফল পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এটিই ছিল করোনার জন্য এফডিএ অনুমোদিত প্রথম ওষুধ, যা করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার্য। এই ওষুধটি নিয়ে যখন সর্বত্র আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক সে সময় ৫ মে তারিখে রয়টার্সের খবরে জানা গেল যে বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ওষুধ কম্পানি বেক্সিমকো এই রেমডেসিভির উত্পাদন শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং তারা এটা বিদেশেও রপ্তানি করবে।
খবরটির ফলে দেশে-বিদেশে যেটি বেশি করে আলোচনায় আসে তা হলো খোদ আমেরিকায়ই যেখানে রেমডেসিভির কবে থেকে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত হয়নি, সেখানে একটা গরিব দেশের কম্পানি করোনাক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে ওষুধটি এখনই বাজারে ছেড়ে দিতে পারছে। তার কয়েক দিন পর ব্রিটিশ স্কাই নিউজ টিভিতে কম্পানিটির চিফ অপারেটিং অফিসারের সাক্ষাত্কারে জানা গেল যে তারা বাংলাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে ওষুধটি বিনা মূল্যে সরবরাহ করবে এবং এরই মধ্যে স্বল্পোন্নতসহ ইউরোপের দেশগুলোর অনুরোধে তারা সেসব দেশেও ওষুধটি রপ্তানি করবে, তবে তা বাংলাদেশের চাহিদা মেটানোর পর। এরপর বাংলাদেশের আরেকটি ওষুধ কম্পানি এসকায়েফ ওষুধটির নমুনা বাজারে ছাড়ে এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নমুনা জমা দেয়। জানা যায়, ঔষধ প্রশাসন আরো ছয়টি কম্পানিকে ওষুধটি উত্পাদনের জন্য প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।
জাপানের ফুজিফিল্ম গ্রুপের তয়ামা কেমিক্যাল কম্পানির আবিষ্কৃত ফেভিপিরাভির নামের আরেকটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিত্সায় ২০১৪ সালে জাপানে অনুমোদন পায়। এর কাঁচামাল চীনের ঝেজিয়াং হিসুন ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানি তৈরি করছে। গত বছর চীনসহ কয়েকটি দেশে করোনা মহামারিতে এই ওষুধটিও রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে এবং রোগীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকের চিকিত্সায় সুফল পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুবই কম, তবে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহারে ঝুঁকির আশঙ্কা আছে। দেশের অগণিত করোনাক্রান্তের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন দেশের ৯টি কম্পানিকে এটি উত্পাদনের জন্য অনুমতি দিয়েছে এবং এরই মধ্যে অ্যান্টিক্যান্সার ওষুধ উত্পাদনকারী বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস এর উত্পাদন শুরু করে দিয়েছে বলে দেশে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। অতি সম্প্রতি দেশের সামরিক হাসপাতালে পরিচালিত একটি ছোট স্টাডিতেও কভিড-১৯ সারাতে এটি ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে। বিকনও ওষুধটি রপ্তানির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অনুরোধ পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটি সর্বপ্রথম করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ইভেরমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহারে সাফল্য পাওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাসপাতালগুলোতে ছোট আকারে ক্লিনিক্যাল স্টাডি শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাথমিক স্টাডিতে এই দুটি ওষুধের সংমিশ্রণ করোনা সংক্রমণ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর বলে দেখা যায়। এই সংমিশ্রণের সুবিধা হলো, ওষুধগুলো বাংলাদেশের বাজারে অনেক আগে থেকেই অন্য অসুখে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত ও সহজলভ্য, মাত্র চার দিনের চিকিত্সার জন্য ওষুধের দাম হবে মাত্র ৩০ টাকা। এরই মধ্যে এই ইভেরমেকটিন নিয়ে দেশে এবং বিদেশে আরো বড় পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুখের সংবাদ হচ্ছে, উন্নত বিশ্বে যে ওষুধ আজ বেরোচ্ছে, সে ওষুধ আমরা তাত্ক্ষণিকভাবে নিজেরা দেশে তৈরি করতে পারছি, যে আইনগত ও প্রযুক্তিগত সুবিধাটি পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলো দূরের কথা, উন্নত দেশগুলোরও নেই। আজ যে ওষুধ আমেরিকায় আবিষ্কার হচ্ছে, আমরা চাইলে পরদিনই সে ওষুধ বাংলাদেশে উত্পাদন ও বাজারজাত করতে পারি, সেখানে ওষুধটির পেটেন্ট বা মালিকানা স্বত্বের কারণে কোনো উন্নয়নশীল বা উন্নত দেশ তা করতে পারে না। এ কারণে দামের ব্যাপারেও আমাদের রয়েছে বিশাল সুবিধা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রিভিউয়ের তথ্য অনুযায়ী, গিলিয়াড তাদের রেমডেসিভিরের ১০ দিনের কোর্সের ১১টি ভায়ালের দাম রাখবে সাড়ে চার হাজার ডলার। অর্থাত্ প্রতি ভায়ালের দাম হবে ৪০৯ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা। সেখানে বাংলাদেশে উত্পাদিত ওষুধটির প্রতি ভায়ালের দাম রাখা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। যত উন্নত ওষুধই হোক, তা উত্পাদন করে ব্যবহারের অধিকার এবং সে ওষুধের সুবিধাজনক দাম ঠিক করার অধিকার—ওষুধের ক্ষেত্রে এই বিশাল দুটি সুবিধা আমরা পাচ্ছি শুধু বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্য। সে ইতিহাস বারান্তরে লেখা যাবে। এখানে শুধু সেই প্রেক্ষাপটটি সংক্ষেপে উল্লেখ করছি।
১৯৭২ সালের বাংলাদেশে যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হতো তার ৮০-৯০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আনতে হতো। তার জন্য বিপুল পরিমাণ কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হতো, সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশে যা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। বঙ্গবন্ধু ওষুধের আমদানি কমিয়ে এসব ওষুধ দেশে মানসম্মতভাবে উত্পাদন করার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশকে ওষুধে স্বনির্ভর করা।
এই লক্ষ্যে তিনি নতুন নতুন ওষুধশিল্প স্থাপন ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে বিদেশি কম্পানির পেটেন্টকৃত ওষুধগুলো দেশীয় কম্পানিগুলো কর্তৃক জেনেরিক অর্থাত্ ওষুধের মূল নামে উত্পাদন করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন। এমনকি ওষুধশিল্পকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ‘বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক’ ও ‘বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা’কে নির্দেশ দেন। ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরের প্রথম পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক হুমায়ুন কে এম এ হাইও কার্যকরভাবে এসব নির্দেশ পালন করতে থাকেন। ফলে অনেকগুলো নতুন দেশীয় ওষুধ শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে।
এর ফলে ওষুধের দাম কমে আসা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সুবিধা হলেও আমলাতন্ত্র তখন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিল যে ওষুধের পেটেন্ট না মানলে পেটেন্টধারী বিদেশি কম্পানিগুলো সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলাম ও ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক অধ্যাপক হুমায়ুন কে এম এ হাই উভয়ের জবানিতেই শুনেছি যে বঙ্গবন্ধু এর উত্তরে যা বলেছিলেন তার মর্মার্থ হলো : আমি সারা জীবন বাংলার মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আদায়ের জন্য পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সারা জীবন ঘর-সংসার ফেলে জেল খেটেছি। না হয় বাংলার মানুষের ওষুধের অধিকারের জন্য আরো কিছুদিন জেল খাটব। আমার দেশের গরিব মানুষ এত দাম দিয়ে ওষুধ খেতে পারবে না। ওসব দামি পেটেন্টওয়ালা ওষুধ আমার দেশের কম্পানিগুলোকে বানাতে দাও, তাতে দাম কমবে। বাংলাদেশ ওসব পেটেন্টফেটেন্ট মানবে না।
ওষুধের পেটেন্ট না মানা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মতো এমন অকুতোভয় উচ্চারণ তখনকার তৃতীয় বিশ্বের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ক করার সাহস পাননি। এটি নিয়ে তখনকার দিনে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচুর প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা ও সোমালিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া বঙ্গবন্ধুর ওষুধের পেটেন্ট না মানার ঘোষণাকে সমর্থন করে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তারাও একই পথ অনুসরণ করবে বলে জানায়।
পেটেন্ট না মেনে দেশীয় কম্পানিগুলোকে সেগুলোর উৎপাদনের অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি বিদেশি ওষুধ কম্পানি এ জন্য মামলার প্রস্তুতিও নিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করার মতো স্পর্ধা দেখায়নি।
সেই থেকে বাংলাদেশ ওষুধ উৎপাদনে ও দাম নির্ধারণে পেটেন্ট মানেনি। ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতি পেটেন্ট অস্বীকারের এই নীতিমালায় আরো সহায়তা করে। ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও ওয়াইপো পৃথিবীর ধনী-গরিব সব দেশের জন্য গ্যাট ও ট্রিপস চুক্তি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করার পর সবার জন্য ওষুধের পেটেন্ট মানাও বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। ফলে ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাবে বলে গরিব দেশগুলো আপত্তি জানায়। তখন আন্তর্জাতিকভাবে গরিব দেশগুলোর পক্ষে ধনী দেশগুলোর বিবেকবান ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-এনজিওগুলোও এগিয়ে আসে। বিশ্বজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে ২০০০ সালে দোহা ঘোষণার মাধ্যমে পেটেন্টের বাধ্যবাধকতা গরিব দেশগুলোর জন্য ২০১৫ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই গরিব দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সোচ্চার হয়ে পেটেন্ট না মানার সুবিধা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করতে সমর্থ হয়। অর্থাৎ এই সময় পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কাউকেই ওষুধের কোনো পেটেন্ট মানতে হবে না এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনে এসব ওষুধ তারা উত্পাদন এবং নিজের দেশে বিক্রি করতে পারবে। তা ছাড়া জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে অন্য কোনো দেশের অনুরোধে এসব ওষুধ রপ্তানিও করা যাবে। অর্থাত্ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর তাবৎ গরিব দেশই উপকৃত হয়েছে।
এ কারণেই ২০১১ সালে পৃথিবীতে যখন বার্ড ফ্লুর মহামারি এসেছিল এবং যখন এর নব আবিষ্কৃত ওষুধ অসেলটামিভির কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না এবং যখন সরকার বিনা মূল্যে রোগীদের চিকিত্সার জন্য প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর উপযুক্ত মজুদ গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেয়, তখন আমাদের ওষুধ কম্পানি দ্রুত এটি দেশে উত্পাদন করে বিপুল পরিমাণে সরকারকে সরবরাহ করে। শুধু তা-ই নয়, তখন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদে ধনী ও গরিব বেশ কয়েকটি দেশের অনুরোধে বাংলাদেশ সেসব দেশে এই অসেলটামিভির রপ্তানিও করেছিল।
এবারও তা-ই। পৃথিবীতে সবার আগে রেমডেসিভির এবং ফেভিপিরাভিরের জেনেরিক ভার্সন নিজেরা উৎপাদন ও বাজারজাত করে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ওষুধশিল্পে তার প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বিষয়টিও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। কারণ রেমডেসিভির ও ফেভিপিরাভিরের ফর্মুলেশন যথেষ্ট জটিল, এগুলো তৈরিতে প্রায় ৭০টি বিভিন্ন উপাদান একটার পর একটা মেশাতে হয়, যা কেবল অত্যন্ত মেধাবী ও অভিজ্ঞ গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের দ্বারাই করা সম্ভব।
আজ করোনার তীব্র সংকটকালে যখন অন্যান্য দেশ জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দামে জীবন রক্ষাকারী ওষুধগুলো তৈরি করতে পারছি এবং ওষুধের পেটেন্ট আমাদের দেশের ওপর ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজ্য হবে না, তার পথ দেখানোর জন্য বাংলাদেশের ওষুধশিল্প ও জনগণ বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী। কষ্ট পাই, যখন এই ঋণটুকু স্বীকারেও অনেকের মধ্যে কার্পণ্য লক্ষ করি।
অধ্যাপক ও পরিচালক, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার; সাবেক চেয়ারম্যান, ফার্মেসি বিভাগ ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ; সাবেক ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়