গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারী করণের হাইকোর্টে নির্দেশ।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন (ধামরাই প্রতিনিধি) : গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারি করণের হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়া সে সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় তাদের বেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়কে। এ রায়ের ফলে দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে আজ সোমবার (২৩ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা এবং তদন্ত ওসি কামাল হোসেন কে ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।উল্লেখ্য থাকে যে গ্রাম পুলিশের কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোঃ লাল মিয়া গ্রাম পুলিশের পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। সেই রিট বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সেটা আমলে নিয়ে রিট শুনানী শেষে গত ১৫/১২/১৯ তারিখে রোজ রবিবার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের দফাদারদের সভাপতি মোঃ লাল মিয়া বলেন, আমাদের দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার ও মহলদার হিসেবে কর্মরত গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩০০০ টাকা। গ্রাম পুলিশের চাকরি

সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তরর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ আর সরকারের কোষাগার থেকে আসে বাকিটা।তিনি আর বলেন
ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তরর্ভূক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকুরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় পরে আমি বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করি।

সেই রিটে চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তরর্ভুক্তি, সরকারি বেতন কাঠামোর চতুর্থ শ্রেণির সমমর্যাদা, মানসম্মত পোশাক, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো রেশন চালু ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান, প্রত্যেক বিভাগে একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং গ্রাম পুলিশের সন্তানের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলনের পর গ্রাম পুলিশরা প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে আসি।

পরে ধামরাই ইপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামিউল হক গ্রাম পুলিশদের ধন্যবাদ জানিয়ে শুশৃংখল ভাবে নিষ্ঠার সাথে প্রত্যেককে কাজ করতে বলেন।