প্রচ্ছদ অপরাধ জাবিতে ‘অপরিকল্পিত’ ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ।

জাবিতে ‘অপরিকল্পিত’ ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ।

সাঈদ বিন ইসলাম জাবি প্রতিনিধি ঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘অপরিকল্পিত’ভাবে ৫ টি হল নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ও অনুষদ ভবন প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয় ।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দশর্ন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি কোন ভবন নিমাণের পূর্বে সেই স্থানের জীব বৈচিত্র রক্ষা ও সেখানকার বসবাসকারীদের রুচি ও পছন্দের সাথে মিল রেখে ভবন নির্মান হয়।
কিন্তু পরিকল্পনাবিদরা কোন শর্ত পালন করছে না। অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ যে প্রস্তাব ও নীতিমালার কথা বলেছেন তার সাথে আপনাদের দি¦মত ছিল না, তবে কেন মদদপুষ্ট ছাত্র ও শিক্ষকদের দ্বারা আমাদের উত্ত্যক্ত ও সম্মানহানি করেছেন। যদি আমাদের প্রস্তাব আপনি গ্রহনই না করেন তবে কেন চার ঘন্টা বসিয়ে রেখে শেষে আমাদের পালিয়ে যাওয়ার উপক্রম করেছেন। একটি হলকে কেন্দ্র করে তিনটি দশতলা ভবন নিমাণে আগামি চার বছর সেখানে পড়ালেখার পরিবেশ থাকবে না। আপনি ছাত্রদের নিরাপত্তার কথা ভাবেন নি তাদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করেননি।’
একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন প্রকৌশলীদের শিখিয়ে দিয়েছে কোথায় ভবন নিমার্ণ করা হবে যেখানে জীব বৈচিত্রর কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা এই অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের বিরোধিতা করছি।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী বান্ধব, পরিবেশ বান্ধব, জীববৈচিত্র বান্ধব উন্নয়ন চাই। আমরা উন্নয়নের অন্তরায় নই কিন্তু উন্নয়নের নামে যে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা তার বিরোধিতা করছি।’
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘নিম গাছ থেকে যেমন মিষ্টি আম পাওয়ার আশা করা যায় না তেমনি অপরিকল্পিত ভবন নির্মানের ফলে ভাল কিছু আশা করা যায় না। অবৈধ ছাত্রদের হল থেকে বের করে যতই হল নির্মাণ করা হক সিট সংকট নিরসন হবে না। তিনি বর্তমান প্রশাসনকে হুশিয়ারি করে বলেন এই অপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাধারন ছাত্র অধিকার ও সংরক্ষন পরিষদের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সাধারন সম্পাদক সুদীপÍ দে ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার বিকেলে অধিকতর উন্নয়ন পরিকল্পনা সবার সামনে তুলে ধরেন । সেখানে আনু মোহাম্মদ তিন মাস সময় চায় এই উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশ বান্ধব কিনা।