দেশের বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে মিরপুর প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে মিরপুর প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে কার্ড ছাপিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকহারে একটি চক্র চাঁদাবাজি শুরু করেছে।
রীতিমত গ্লোজি আর্টপেপার দিয়ে কার্ড ছাপিয়ে মিরপুর প্রেসক্লাব রেজি নং এস-১৮০৬(৯৫)/৯৭ এর নামে এই সংঘবদ্ধ হলুদ ও কথিত সাংবাদিক চক্র দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে।এই কার্ডের নিচে বামদিকে উদযাপন কমিটির আহবায়ক নাম দিয়ে ০১৭১০৮৭৯৭৩৭ মোবাইল নাম্বার এবং ডানদিকে উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নামে ০১৬৬০১৫১৫১৬ মোবাইল নাম্বার বসানো রয়েছে। এই দুটি মোবাইল এর নাম ভাঙ্গে চাঁদা উঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ কার্ড হাতে পেয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের একজন জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়নকে কালীমালিপ্ত করতেই এই চক্র মাঠে নেমেছে। তিনি একই সাথে এই সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রকে গ্রেফতারপূর্বক কঠোর আইনী পদক্ষেপ নিতে ডিএমপি কমিশনার, এনএসআই, এসবি, ডিবি প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরপুরের একটি সুনামধন্য ক্লিনিক মানেজার বলেন, এই চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিবসের নাম ভাঙিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টসসহ ব্যাপক চাঁদাবাজি করে মানুষজনকে ত্যক্ত বিরক্ত করে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন এই চাঁজাবাজ চক্রের পক্ষে মারুফ হায়দার নামের এক নামধারী সাংবাদিক এবং মাথায় চুল কম এমন একজন স্বঘোষিত সাংবাদিক এসব চাঁদার টাকা কালেকশন করে থাকে। তিনি আরও বলেন গোয়েন্দা সংস্থা ছাঁয়া তদন্ত করলেই এদের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
এই চাঁদাবাজ চক্রটির বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন কাউকে প্রেসক্লাবের নামে জঘণ্য চাঁদাবাজীর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
দায়িত্বশীল এই দুই সাংবাদিক নেতা আরো বলেন, আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। এরমধ্যে যদি মিরপুর প্রেসক্লাবের কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদেরকে প্রেসক্লাবে থেকে স্থায়িভাবে বহিস্কার ও দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড এবং চাঁদাবাজীর মামলা দেওয়া হবে।