অভিযোগকারী বলেন, গত বুধবার প্রেমিক নাহিদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার নাম করে ফুপা আলমগীর তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে নাহিদের বাড়ি যাবার কথা বলে বাইরে যেতে চাইলেও ঘরের দরজা বন্ধ করে জোর করে ধর্ষণ করে ভুক্তভোগীকে।
অভিযোগকারীর খালা রাবেয়া বেগম বলেন, ঘটনার পর আলমগীর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌছে দেয়। দুদিন পর ভুক্তভোগী এই ঘটনা তার মাকে জানায়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, এই ঘটনা শোনার পর আমরা চেয়ারম্যান, মেম্বারকে জানাই। তারা মিমাংসার কথা বলেন। আলমগীরকে আটক করা হলেও সুয়াপুর ইউনিয়নের মেম্বার প্রভাত তাকে ছেড়ে দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেম্বার প্রভাত বলেন, ঘটনাটা জানি। দুইজনকেই আমি চিনি। আমরা মিমাংসার কথা বলেছিলাম। তবে তারা চলে যায়। পরে আলমগীরও নিজের বাসায় চলে যায়।
সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোরহাব বলেন, ঘটনাটা কয়েকদিন আগে ঘটে। পরে আমার কাছে অভিযোগ জানায়।
আলমগীরকে পুলিশে সোপর্দ না করার এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের এখতিয়ার না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্তদের ধরতে যাই। তবে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীরা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে।