মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি)ধামরাইয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় ছেয়ে গেছে ধামরাইয়ের সিংহভাগ সড়ক দখল করে আছে নিয়ন্ত্রনহীন এসব অটোরিক্সা। যাদের অনেক চালকের লাইসেন্স কিংবা অটোরিক্সা চালানোর অভিজ্ঞতা নেই।
আইন লঙ্ঘন করে চালানো এসব অটোরিক্সার কারনে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, এমনকি প্রাণহানীও। দিনে দিনে অটোরিক্সার সংখ্যা বেড়েই চলছে ।
রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাগজপত্র বিহীন অটোরিক্সা। সরেজমিনে দেখা গেছে, যেসব অটোরিক্সা চলাচল করছে তার অনেক চালকের নেই লাইসেন্স বা কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ।মেশিন দ্বারা এই রিক্সা চলাচলের কারনে অদক্ষ চালক অনেক সময় রিক্সা নিয়ন্ত্রন করতে অক্ষম হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন শিশু-কিশোর অটোরিক্সা চালাতে পারবে না।
লাইসেন্সধারী চালককে অটোরিক্সা পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্যান্ট পড়ে নিতে হবে। চালকের দুই পাশে কোন যাত্রী বহন করতে পারবে না। নিয়ম থাকলেও এসব কেউ মানছে না। অধিকাংশ অটোরিক্সা চলাচ্ছে শিশু-কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। যাদের নেই চালক লাইসেন্স বা অভিজ্ঞতা।এসব চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খোলা অটোরিক্সা চালনার কারনে প্রতিনিয়তই ঘটেছে দূর্ঘটনা, এবং অনেকেই বরণ করেছে পঙ্গুত্ব। বিভিন্ন অলি গলিতে বেপরোয়া ভাবে চলছে এ অবৈধ অটোরিক্সা, চালকেরা মানছেনা কোন আইন কানুন, মানছে না কোন বাঁধা।
দ্রুত গতিতে অটোরিক্সা চালকদের অসংলগ্ন চালনায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সহ বিভিন্ন বয়সী পথচারীরা। জানাযায়, বিদ্যুৎচালিত অটোরিক্সার ব্যাটারী চার্জ দেয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন একাধিক চার্জার কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে চালকেরা সারারাত মোটর চার্জে দিয়ে রাখেন।
প্যাডেল রিক্সায় মোটর ও ব্যাটারি লাগিয়ে দ্রুতগামী রিক্সা। অটো রিক্সা নিয়ন্ত্রনে নেই কোন উদ্দ্যোগ। যত দিন যাচ্ছে অটো রিক্সার পরিমান ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে এক প্রকার ঝুকির মধ্যে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে ।
ভাড়া নিয়ে যাত্রীর সাথে রিক্সা চালকদের তর্ক বিতর্ক এখন নিত্য নৈমত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। রোদ,ঝড়,বৃষ্টি এবং বিশেষ দিনগুলিতে এরা এক প্রকার জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে বলে অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী।এর পরিমান এখন বেশি হয়ে গেছে এটা এখন রোধ করা না হলে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে।