পরিকল্পনা করে হত্যা করে মজিদকে

Loading

সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী প্রতিনিধি :পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয় খামারি আব্দুল মজিদকে। হত্যার আগে প্রথমে আব্দুল মজিদ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়েছিল। এর পর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। চারটি গরু লুট করার জন্যই তারা এ হত্যাকান্ড ঘটনায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের রাজপাড়ায় থানায় খামারি মজিদ হত্যাকান্ড ও তার চার গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে এ সব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।

সাজিদ হোসেন বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকা থেকে মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা অনুসন্ধানের সময় মুল পরিকল্পনাকারিসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগররের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার হারুনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার মৃত আছের উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), মৃত জাবেদ আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৪১) ও মকবুল আলীর স্ত্রী মোসা: আশুরা (৪৮)। গত শনিবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সাজিদ হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারকৃদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহনকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন, দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮)। এদের রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বলেন, আব্দুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এর পর আসামী মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরােধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে আসামী আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এর পর তারা দুইটি গাভী ও দুইটি বাছুর একটি ভুটভুটিতে তুলে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, নগরের উজিরপুর এলাকা থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে ভুটভুটিও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়।

গত চার ডিসেম্বর রাতের দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে খামারি আব্দুল মজিদ হত্যাকান্ডের শিকার হন। তার খামার থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়অ হয় চারটি গরু। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আব্দুস সালাম বাদি হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।