ফক্কা নাসিরের সন্ত্রাসী কার্র্যক্রমে পুটখালী গ্রামবাসি ভীত সন্ত্রস্থ

Loading

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি: গত ১৩ই এপ্রিল শার্শা উপজেলার পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যানের পক্ষে বিবৃতি দাতাদের ওপর একের পর এক ফক্কা নাসির তার বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়া শুরু করেছে।

পুটখালীর খাটাল দখলের চেষ্টায় প্রতিনিয়ত গ্রামবাসীর ওপর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। কারণে অকারণে ত্রাণ কার্যে বাধা এবং উস্কানি ঘটিয়ে ঐ এলাকার বিশিষ্ট গরু ব্যবসায়ী এবং পুটখালী খাটাল তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত মোঃ নাসিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, এতে ব্যবসায়ী নাসির মানহানিকর অবস্থায় পড়েছে।

এদিকে ১৩ই এপ্রিলের ঘটনায় বিবৃতিদাতারা ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা সাংবাদিকদের বলছেন, আইনের পর্যায়ে ধরা পড়া ফাক্কা নাসির তার বহিরাগতদের নিয়ে প্রায়সই পুটখালী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে পুঁজি করে গ্রামবাসীর মধ্যে গন্ডগোল বাঁধিয়ে গরু ব্যবসায়ী নাসিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ফক্কা নাসিরের মারমুখী আচরণে পুটখালী গ্রামবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। কোন না কোন ঘটনা নিয়ে সে গ্রামে বহিরাগতদের নিয়ে গোলযোগের পায়তারা করছে। গ্রামবাসীরা তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসী এর প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের নিকট ফাক্কা নাসিরের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে।

গরু ব্যবসায়ী মোঃ নাসির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারি ত্রাণকার্য ব্যাহত করে চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামান এর বিরুদ্ধে এবং আমার নামে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে গ্রামের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। যা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা বিহীত করা একান্ত প্রয়োজন। গ্রামের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী ফক্কা নাসিরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পুটখালী খাটাল পরিচালনার দায়িত্বের ব্যাপার ফক্কা নাসিরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ব্যবসায়ী নাসির। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্দেশনা নিয়ে আমি আমার ব্যবসার পাশাপাশি গরুর খাটালে দেখাশোনা করে আসছি। দৈনিক সরেজমিন পত্রিকায় জাহাঙ্গীর আলমের লেখায় প্রকাশিত দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণে তারিখ বিহীন একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ফক্কা নাসির অথচ পুটখালী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকা বাসির জানা নাই। অথচ ওই ঘটনাকে পুঁজি করে ফক্কা নাসির আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে,সেটি ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। এছাড়াও গত (৬/১১/২০১৯ইং) তারিখ কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলার যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে তাতে আমার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। কেননা ঐ দিন নামধারী কয়েকজন সাংবাদিক আমার নিকট অবৈধভাবে এক লাখ টাকা টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় ঘটনাটি গ্রামবাসীর কানে পৌঁছালে গ্রামবাসীর সাথে তাদের ধস্তাধস্তি বাঁধে।

পুটখালী খাটালের কথা উল্লেখ করে ব্যবসায়ী নাসির বলেন, বর্তমানে খাটালে গরু আনা-নেওয়ার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। যা এখানকার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড (বাংলাদেশ বিজিবি)’র তথ্যের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হয়েছে। মেসার্স স্টার এজেন্সির মাধ্যমে খাটাল পরিচালনার যে কথা বলা হয়েছে তাদের মেয়াদ গত (১২/৪/২০২০ইং) তারিখ শেষ হয়ে গিয়েছে। ঐ এজেন্সি সদস্য পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে ঘাটাল দখলের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে প্রস্তুত পুটখালী গ্রামবাসী।১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরনে গ্রামবাসীর মধ্যে ফক্কা নাসির আমাকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন, আমি হলফ করে বলতে চায় দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার নিজ অর্থায়নে এ পর্যন্ত গ্রামবাসী দুস্থদের মধ্যে ১৮ থেকে ২০ টন চাল আমি বিতরণ করেছি। সরকারের যে কোন ত্রাণকার্যে আমার শতভাগ উৎসাহ রয়েছে এবং এ ব্যাপারে সার্বক্ষনিক চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামানকে সহযোগিতা করে আসছি, তার সাথে আমার কখনোই কোন প্রকার গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি।