মাগুরার শ্রীপুরে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবক-যুবতী আটক ।
আশরাফ হোসেন পল্টু,মাগুরা, প্রতিনিধি ঃ মাগুরার শ্রীপুর থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রবিবার গভীর রাতে উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রাম থেকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ফেরদৌস আরা (২২) ও জামিরুল ইসলাম (২৫) নামে দু’যুবক-যুবতীকে আটক করতে সক্ষম হন অতপর ঃ এক রাত থানায় আটক রাখার পর গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় শালিস মিমাংশার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয় ।
এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন জানান, উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের আবেদ আলী বিশ্বাসের কন্যা ফেরদৌস আরাকে গত এক বছর পূর্বে একই উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয় । বিবাহের দিন থেকেই ঔই বিয়েতে সে রাজী ছিলনা কিন্তু পারিবারিক চাপে অবশেষে সে বিয়েতে রাজী হয় ।
বিবাহের পর থেকেই ফেরদৌস আরা শশুর বাড়িতে তেমনটি যেত না তবে বাবার পরিবারেই সে বাস করত। বিয়েতে রাজী না হওয়া এবং শশুর বাড়িতে না যাওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরিবার ও সমাজের লোকজনদের মনে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে । একপর্যায়ে এলাকার লোকজন জানতে পারে যে,পার্শ্ববর্তী মুজদিয়া গ্রামের আমির বিশ্বাসের ছেলে জামিরুল বিশ্বাসের সাথে তার পরকীয়া প্রেম রয়েছে এবং জামিরুল বিশ্বাস দিনে-রাতে প্রায় মূহুর্তেই ফেরদৌস আরার বাড়িতে অবাধে আসা-যাওয়া করছে ।
গ্রামবাসীর এবং পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের ধরার জন্য ওৎপেতে থাকে। গত রবিবার রাতে ফেরদৌস আরার আম্মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে জামিরুল ঔইরাতে ফেরদৌস আরার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে । ফেরদৌস আরার কক্ষে জামিরুল প্রবেশ করার পরপরই মেয়ের চাচা রোকনুজ্জামান রোকনের নেতৃত্বে সারঙ্গদিয়ার ব্যাপারী পাড়ার লোকজন দ্রæত ছুটে এসে তাদের দু’জনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় হাতে-নাতে আটক করতে সক্ষম হয়। আটকের পর গণধোলায় দিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় । সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের দু’জনকেই উদ্ধার করে ওইরাতেই থানায় আটকে রাখে । পরদিন অর্থ্যাৎ গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয় সালিশ মিমাংশার পর উভয়কেই মুক্তি দেওয়া হয় ।
শ্রীপুর থানার এস,আই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,আটককৃত ঔই যুবক-যুততীর মধ্যে অনেক ধরেই প্রেমজঃ সম্পর্ক ছিল । সম্পর্কের সূত্রধরেই ছেলেটি ঔইরাতে মেয়েটির সাথে দেখা করতে এসেছিল আর সেই সুযোগে গ্রামবাসী ছেলেটিকে ধরে বেঁধে রাখে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয় এবং সোমবার সকালে আটককৃত দুই পরিবারের অভিভাবকবৃন্দ, ইউ,পি চেয়ারম্যান মসিয়ার রহমান, মদনপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ শেখসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সালিশ মধ্যস্থতায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।