প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত নয়টার দিকে সবাই মসজিদে তারাবির নামাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ সিআরপি রোডের শিপনের মুদি দোকানের সামনে পাশের জুতার কারখানার গলি থেকে ইয়াসিন হৃদয়ের নেতৃত্বে জড়ো হয় তার গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ সময় শিমুলতলার দিক থেকে দৌড়ে এসে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় আরেক গ্যাংয়ের সদস্যরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় ও পাশের এলাকা থেকে আসা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় কিশোরগ্যাং সদস্য আমিনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী শাহিবাগ এলাকার পাপ্পু, হাবিব, অনিক মুন্নাসহ অপর কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত আমিনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও আহত কিশোরের রক্তমাখা জুতাসহ ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।
এদিকে কিশোর আমিনের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।