ঢাকার ধামরাই উপজেলা নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর স্ত্রী এবং দুই শিশুসহ ফেরত পেলেন মোঃ শাহ আলম মিয়া। তার গ্রামের বাড়ী ধীরাশ্রম থানা গাজীপুর, জেলা গাজীপুর, পূর্বের টাকা-পয়সা লেনদেন কে কেন্দ্র করে তার দুই শিশুসহ তার স্ত্রী কে অপহরন করা হয়।
শাহ আলম বলেন আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ধামরাই ইসলামপুর আমবাগান শ্বশুরবাড়ীতে ২২.০৩.১৯ তারিখে বেড়াইতে রাখিয়া আসি। আমার সাথে প্রতিদিনই আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হইত গত ৩১,৩,২০১৯ তারিখে বেলা অনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল বন্ধ পাই পরে আমার শাশুড়ীর মোবাইলে ফোন করি আমার শাশুড়ী আমাকে জানায় আমার স্ত্রী ও দুই শিশুসহ গত ৩১ ৩ ২০১৯ তারিখে বেলা অনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় কাউকে কিছু না বলিয়া তাহাদের বাসা হইতে চলিয়া গিয়াছে ।
অতঃপর আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করিয়া না পাইয়া আমি ধামরাই থানায় ০৪.০৪.১৯ তারেিখ একটি জিডি করি জিডি নাম্বার ১৫৪ , পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল ট্রাকিং করে বাগেরহাট সদর থানা চুলকাটি গ্রামে শাহাবুদ্দিনের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে ।পরে জানতে পারি ধামরাই থানা রোড থেকে অপহরন করা হয়।অপহরন তিন জন হলেন (১)মোছাঃ আমেনা আক্তার(৩০)(২)মোঃ আহনাফ শাহরিয়ার(৫)(৩)আফিফ সাদমান(৫মাস) এ ব্যাপারে ধামরাই থানা এই মামলার তদন্ত অফিসার এসআই প্রমোজ চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায় ধামরাই থানায় অপহরণের একটি জিডি হয়।সেই সূত্র ধরে পুলিশ প্রোশাসন বিভিন্ন ভাবে খোজ করিয়া আসিতেছে।
সর্বশেষ ৬,৪, ২০১৯ সকাল ছয় ঘটিকার সময় আমি এবং আমার সহযোগীরা বাগেরহাট সদর থানা চুলকাটি গ্রামে শাহাবুদ্দিনের বাড়ী থেকে মা ও দুই শিশুকে সুস্থ ভাবে উদ্ধার করি। এবং সুমন শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করি। তিনি আরও জানান অপহরণকারী মোঃ সুমন শেখ এর কাছ থেকে শাহ আলম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেতেন।শাহ আলম মিয়া টাকা চাইলে সুমন শেখ বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে যেতেন।
উদ্ধার হওয়ার পর ধামরাই থানায় গ্রেফতারকৃত আসামী ও পলাতক আসামী অঙ্ঘাতনামা ২/৩ জনকে অসামী করে একটি মামলা হয় মামলা নং ১১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০.(সংশোধনী ২০০৩)এর ৭.৩০। গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ সুমন শেখ (৪২)পিতা মোঃ রুস্তম শেখ,সাং-বাদুরগাছা, পোঃ কুলুটি, থানা ডুমুরিয়া, জেলা খুলনা ।
বর্তমানে আশুলিয়া থানা টংগা বাড়ী(বাটা বাউন্ডারী)মোঃ হাসান আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া ।