আলুর রাজ্যে আলুর দামে ধস কৃষক পাচ্ছে না উৎপাদন খরচ কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ।
বিপুল ক্ষতির মুখে আলুর রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাজশাহী বগুড়া রংপুরের হাজারও কৃষকেরা আলুর দাম না পেয়ে মুখে মুখে উঠেছে ধস ধস। তবে না পাচ্ছে উৎপাদন খরচ সে কারনেই কপালে পড়েছে ঋণের দুঃশ্চিন্তার ভাজ। জমিতে আলুর কেজি এখন ১০ টাকা আবার হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে আলুতে এতো ধস। রাজশাহীতে আলু তোলা শুরু করার পরপর জোরে সোরে উঠেপড়ে লেগেছে সিন্ডিকেট চক্র তাদের জন্যই আলুর দামে ধস। এবার আলুর দাম একেবারেই কম। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে জমিতে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি দরে। কৃষকরা বলছেন, গত এক দশকে আলু দাম এতোটা কম হয়নি। ফলে এ বছর উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষিরা। ক্রেতা না থাকায় কৃষকেরা না পারছে জমি থেকে আলু বিক্রি করতে, আবার বুকিং না থাকায় হিমাগারেও না পারছে রাখতে এ চরম বিপাকে পড়েছে মধ্য বর্তী কৃষকেরা। মধ্যবর্তী কৃষকদের একটাই অভিযোগ আলুর অস্বাভাবিক দরপতন উঠানামার পেছনে আলু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের বড় হাত রয়েছে। তাছাড়া কৃষকেরা আরো দাবী করেন হিমাগার মালিকদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধ ও নাসকতার সাথে জড়িত এ ধরনের ব্যক্তিদের কাছে আছে অগাত টাকা তারা প্রতি বছর মাঠে নেমে আলু কিনতো কিন্তুু এবার তিন চার স্তর ফড়িয়া দালাল দিয়ে হাত বদলের পর আসল মালিকদের হাতে পড়ছে সেই সোনার আলু আর এ কারনেই কৃষকদের আলু বিক্রিতে এতো ধস। ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে হিমাগার ভাড়া ছিল ৪ টাকা। এবার এক লাফে সংরক্ষণ ভাড়া বাড়িয়ে আট টাকা করা হয়েছে এর কারনেও আলু বিক্রিতে এতো ধস। হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সু-কৌশল করে হিমাগারের অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন করে রেখেছে। এ বছর অধিকাংশ সাধারণ কৃষক আলু রাখার জন্য হিমাগারে কোনো বুকিং সংগ্রহ করতে পারেনি। এখন জমি থেকে আলু তুলে সাধারণ কৃষক না পারছে হিমাগারে দিতে না পারছে বাড়িতে রাখতে। ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পানির দরে আলু কিনে নিচ্ছে জমি থেকে। অসহায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকায় আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ভুক্তভোগী আলু চাষিরা আরও বলছেন এবার সাধারণ কৃষকরা হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে রাজশাহীর আলু চাষিরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও না উঠায় ব্যাংক ও মহাজনী ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তানোরের কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা দমদমা গ্রামের আলু চাষিদের সাথে সরাসরি কথা হলে তারা বলেন,এবার আবাদ মৌসুমে বীজ আলুর দাম ছিলো দ্বিগুণ এক বিঘা জমিতে আলু আবাদে ব্যয় হয়েছে নিম্নে ৬৫ হাজার টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ৭৫ হাজার টাকা। বিক্রি সংরক্ষণ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজশাহী হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এদেরকেও অনেক কৃষকেরা দুসছেন, হঠাৎ করে নিজ খেয়াল মতো হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি করাকে।