আশুলিয়ায় নির্বাচনী প্রচারনার সময় আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুসাসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। শুক্রবার বিকেলে একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ডাঃ এনামুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারনার সময় আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানায়, বিকেলে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত ঢাকা-১৯ এর প্রার্থী ডা.এনামুর রহমান, সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভার শুরুর আগে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুসাসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা একটি নির্বাচনী মিছিল নিয়ে আলোচনা সভায় যোগ দিতে আসেন। এসময় আভ্যন্তরীণ কোন্দোলের জের ধরে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকারের লোকজন মুসার উপর হামলা করে। পরে যুবলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে সাবেক যুবলীগ নেতা মুসা, আনোয়ারসহ আহত হয় অন্তত ১০ জন। এঘটনায় আলোচনা সভা না করেই আওয়ামীলীগের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমান আহত নেতাকর্মীদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য তার মালিকানাধীন এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যান।
এদিকে সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে যুবলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষেল ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবে যুবলীগ নেতার উরপর বহিরাগতরা হামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি। সংঘর্ষের সময় আমি খাবারের ঘওে থাকায় বিষয়টি পরে জানতে পারি। তবে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি সাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে আশুলিয়ার পাথালিয়া এলাকায় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের সামনেই যুবলীগ নেতা সুমন মন্ডলের (পণ্ডিত) সাথে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য শফিউল ইসলাম সোহাগের মধ্যে সংঘর্ষ হলে আহত হয়েছে অন্তত ৩ জন। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার বিষয়ে জানতে সাংসদ এনামুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।