কাউয়া মুক্ত আশুলিয়া থানা যুবলীগ চাই নেতাকর্মীরা।

Loading

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ‘কাউয়া মুক্ত আশুলিয়া থানা যুবলীগ লীগ চাই’ লেখা সম্বলিত একটি বিলবোর্ড। গত ৩১ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিলবোর্ডটির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে সুমন মীর লেখেন:- মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার কাছে আমাদের আশুলিয়া বাসীর দাবি জামায়াত-বিএনপি থেকে আসা নাশকতাকারী,কাউয়া ও হাইব্রিড মুক্ত যুবলীগ চাই।এরপর মো ইমন মোল্লা, উজ্জ্বল ভূঁইয়া, আমির সরকারসহ অনেকেই ছবিটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন। ফেসবুকে এমন ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর আবার ও আলোচনায় আসে ‘কাউয়া যুবলীগ ‘।

আশুলিয়া থানা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাউয়া ও হাইব্রিড মুক্ত যুবলীগ চাই লেখা ,বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার। উল্লেখ যোগ্য স্থানগুলো মধ্যে আশুলিয়া প্রেসক্লাব পাশে, ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের পাশে, ওভার ব্রিজ , জামগড়া চৌরাস্তায় মোড়, নরসিংহপুর স্টান, আশুলিয়া বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেট বিলবোর্ড ও ব্যানার টানানো।গত বছর সিলেটে আওয়ামী লীগের এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগে কাউয়া ঢুকে গেছে।’

এরপর থেকে তার দেয়া উপাধি অনুযায়ী দলে অনুপ্রবেশকারীদের ‘কাউয়া’ বলে অভিহত করেন দলের ত্যাগী নেতারা। দলের তৃণমূল মনে করে, দলের মধ্যে যেসব অনুপ্রবেশকারী ঢুকে থাকে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট জরিপ হওয়া প্রয়োজন।

‘কাউয়া’ বলতে যারা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত, বিভিন্ন বাম দল এবং জাতীয় পার্টি থেকে দলে এসে দীর্ঘ দশ বছরে তাদের বিপুল অর্থ ভাণ্ডার তৈরি করেছেন তাদের বোঝানো হয়ে থাকে।

আশুলিয়ার বিভিন্ন ইউপি যুবলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা জানান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসাামী ও পূর্বে দলের কেন পদ-পদবী না থাকার সত্বেও হঠাৎ করে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি তে পদ বাগিয়ে নিয়েছে। এতে করে সকল ত্যাগী নেতাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এই সমস্ত নাম ধারী হাই-ব্রিড সুভিধা ভুগী নব্য নেতা বনে যাওয়া দের জন্যই যুব লীগের বদনাম হয়। এদের পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা উচিত বলে মনে করেন তারা।