কাশ্মীর সীমান্তে কামান ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে পাকিস্তান ,বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে পাকিস্তান। সীমান্তের ওপারে লাদাখ লাগোয়া স্কারদু বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে চীন নির্মিত জেএফ-১৭ ফাইটার জেট পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, গত শনিবার রাত থেকেই প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও কামান নিয়ে পাকিস্তানের সেনারা কাশ্মীর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তান সেনঘাঁটিগুলিতে সক্রিয়তা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। গত শনিবার থেকেই স্কারদু বিমানঘাঁটিতে একাধিকবার অবতরণ করেছে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সি-১৩০ পণ্য পরিবহণকারী বিমান। ভারতের সঙ্গে ‘ফরওয়ার্ড বেস’ গুলিতে যুদ্ধের জন্য রসদ মজুত করছে পাকিস্তানি সেনা।
গোয়েন্দারা আরও মনে করছেন, ওই ঘাঁটিগুলি থেকে বড়সড় বিমান হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। তবে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনার গতিবিধি বাড়লেও চিন্তার কিছু নেই। তাদের সমস্ত গতিবিধি ভারতীয় রাডারে স্পষ্ট ধরা পড়ছে। ফলে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করলে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে, ঈদ ও স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে শনিবার রাত থেকে কাশ্মীর সীমান্তে ইমরান সরকার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-সহ প্রচুর সেনা পাঠাচ্ছে বলে জানা যায়।
রবিবার টুইট করে মারাত্মক এই দাবি করেন পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীর। তাঁর দাবি, ‘‘কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান সরকার সেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে খবর দিয়েছেন তার কাশ্মীরি বন্ধুরা। শনিবার রাত থেকেই প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও কামান নিয়ে পাকিস্তানের সেনাকর্মীরা কাশ্মীর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে। আর তাদের দেখে পাকিস্তানের পতাকা নাড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে স্থানীয় কাশ্মীরি। মুখে স্লোগান দিচ্ছে – কাশ্মীর বন গ্যায়া পাকিস্তান।’’
এই টুইটের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। বাড়ানো হয়েছে সেনা সদস্যদের সংখ্যাও।