কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মানব পাচারকারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১১

Loading

কুমিল্লা ,প্রতিনিধি : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মানব পাচারকারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা। এ সময় একজন নারীসহ তিনজন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।অভিযানে মানব পাচাঁরকারিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া জন্ম সনদ, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত ৩টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, ৭টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ নগরীর শাকতলায় র‌্যাবের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার ও চিওড়া এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আটক হওয়া মানব পাচাঁরকারিরা হলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাপড়চতলী গ্রামের মৃত. আবুল কালামের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (২৫), মোঃ ফজলুল হকের ছেলে মোঃ নুরুল হক (২৯) এবং উপজেলার ডিমাতলী গ্রামের মোঃ কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল আহাম্মেদ ওরফে রনি(৩২)।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, বালুখালির পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, ট্যাংখালির রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে মোঃ জাহেদ হোসেন (২৫) এবং উখিয়ার কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সি/৩ এর মোঃ হাকিম শরিফের ছেলে মোঃ রফিক (৩৭) ।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, আটক হওয়া আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে এসে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে মালেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচাঁর করে আসছিল। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়া উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মেয়েটির ভ’যা জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়, যা এই পাচাঁরকারি চক্র তৈরি করে তা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাচাঁর করা চেষ্টা করছিল।