ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
টানা চতুর্থ দিনের মতো রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজকোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশের দেওয়াল ভেঙে পড়ে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যের ৪০ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে।
বৃষ্টিপাতের সাময়িক বিরাম সত্ত্বেও ভদোদরা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিশ্বামিত্রী নদীর তীর উপচে আবাসিক এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে বিস্তৃত নিম্নাঞ্চলে মারাত্মক বন্যার দেখা দিয়েছে।
আজওয়া ও প্রতাপপুরা জলাধার থেকে বিশ্বামিত্রী নদীতে পানি ছাড়ার পরে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্যের ১৪০টি জলাধার ও বাঁধ এবং ২৪টি নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার দ্বারকা, জামনগর, রাজকোট ও পোরবন্দরে ১২ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। দ্বারকার ভানবাদ এলাকায় এই সময়ে ১৮৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা রাজ্যের সর্বোচ্চ।
বৃষ্টির জেরে রাজ্যে যান চলাচল, ট্রেন পরিষেবা ও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ভদোদরায় কুমিরের অস্বাভাবিক উৎপাত দেখা দিয়েছে। ৩০০ কুমিরের আবাসস্থল বিশ্বামিত্রী নদী প্লাবিত হওয়ায় এই সরীসৃপগুলো মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়েছে, যা বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার একটি বাড়ির ছাদে ও রাস্তায় বেশ কয়েকটি কুমিরকে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।