ঘূর্নিঝড় বুলবুল ৬দিন অতিবাহিত তালতলীর ৭ জেলের খোজ মেলেনি ।
মৃধা শাহীন শাইরাজ,তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার এফবি তরিকুল ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ১৫ জেলের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ৮ জন জেলে ফিরে আসলেও নিখোজ রয়েছে ৭জেলে। ফিরে আসা জেলেরা জানান, তালতলী উপজেলার লালুপাড়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম স্বপনের এফবি তরিকুল নামের একটি ট্রলার ৩ নভেম্বর গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে ওই ট্রলারটি কিনারে ফেরার সময় সুন্দরবন এলাকার নারিকেল বাড়ীয়ায় ডুবে যায়।
এসময় ওই ট্রলারে থাকা ১৫ জন জেলের মধ্যে ৯জন জেলে সাগরে ৩দিন ভাসতে ভাসতে বিছিন্নভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সিমান্ত এলাকা পাগড়াতলী চরে পৌছেন। ওই চরে টহলে থাকা বিজেবি সদস্যরা দেখে তাদের মধ্যে ৮ জেলেকে উদ্ধার করে কৈখালী বিজিপি ক্যাম্প ও পরে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেন।
উদ্ধার হওয়া ওই ৮ জেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে তালতলী উপজেলার লালুপাড়া গ্রামের বাড়ী ফিরেছেন। সাগরে ভেসে আসা ৯ জেলের মধ্যে উদ্ধার না হওয়া তালতলীর জেলে সবুজ ফরাজীর (২০) সন্ধান আজও মেলেনি। উদ্ধার হওয়া জেলে পনু মোল্লা, মস্তোফা ফরাজী, জসিম ফরাজী, জলিল খান ও আনোয়ার হোসেন সিকদার জানান, ওই ট্রলারে থাকা ১৫ জেলের মধ্যে মিস্ত্রিসহ ৬জন জেলে ট্রলারের ভিতরেই ছিল। প্রবল ঢেউয়ে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময়ও তাদের ট্রলারের ভিতর থেকে বের হতে দেখেননি। তাদের ধারনা ওই ৬ জেলে ট্রলারের ভিতর থেকে বের হতে পারেননি। তারা হলেন তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লালুপাড়া গ্রামের কা ন আলী হাওলাদারের পুত্র শানু হাওলাদার (৫৫), আলী আকবর হাওলাদারের পুত্র মোঃ রাসেল মিয়া (২৫) ও ময়জদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মোঃ কামাল হোসেন এবং বরগুনার নলী এলাকার মিস্ত্রী মোঃ হোসেন আলী (৫৫), মোঃ লিটন (৫০) ও সুমন (৩০)।