ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার পর শিক্ষকের কু-কির্তির সত্যতা ফাঁস ।

Loading

শার্শার মাদরাসার ছাত্রী শিক্ষকের শ্লীলতা হানির ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করতে গেলে ওই শিক্ষকের কুকির্তী ফাঁস হয়ে যায়।

দির্ঘদিন বাগআচঁড়া সাতমাইল আলীম মহিলা মাদরাসার শিক্ষক শরিফুল ওই মাদরাসার ছাত্রী রিয়া মনিকে শ্লিলতাহানি করে আসছিল। গত (২৭ এপ্রিল) ৫ম শ্রেনীর ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাসে শিক্ষক ডাষ্টার দিয়ে মারার অভিনয়ে বুকে হাত দিলে অন্য শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলে। এ নিয়ে শিক্ষক শরিফুলের সাথে রিয়া মানির খারাপ সম্পর্ক আছে বলে তার সহপাঠিরা তাকে মশকরা করে। তখন ওই শিক্ষার্থী লোক লজ্জার ভয়ে ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যার চেষ্টা করতে গেলে ক্লাসের অন্যন্য শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলায় সে বেঁচে যায়।

এরপর তার আতœহত্যার কারন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ও অন্য শিক্ষকরা জানতে চাইলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। শিক্ষক শরিফুল দির্ঘদিন ধরে তার স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয় বলে সে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি বৈঠক করে শিক্ষক শরিফুলের ঘটনার সাথে সত্যতা মেলায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এয়াকুব বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক এর আচারনে ওই শিক্ষার্থী আতœহত্যার চেষ্টা করতে গেলে তাকে অন্য শিক্ষার্থীরা দেখে উদ্ধার করার পর তার আতœহত্যার কারন জানা জানি হয়ে যায়। তিনি বলেন, তার সহপাঠিরা শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক আছে এমন অপবাদ দিয়ে মশকরা করার পর সে আতœহত্যার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে তার পিতার জিয়াউর রহমান থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল, প্রিন্সিপ্যাল মহসিন আলী সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ম্যানেজিং কমিটির লোক এর নামে তার অভিযোগ করা উচিৎ হয়নি। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডাক্তার নুরুল ইসলাম একজন নির্দোষ ব্যাক্তি।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষকের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে বিচার কাজে টালবাহানা করে এমন প্রশ্নে সভাপতি এয়াকুব বিশ্বাস অস্বীকার করে। এদিকে শিক্ষার্থীর পিতা জিয়াউর রহমান বলেন, যদি শিক্ষকের নিকট থেকে অর্থ না নিয়ে থাকে তবে কেন বিচার কাজে গড়িমিসি করা হলো।

অভিযুক্ত শিক্ষক বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে। শাশুড়ী আফরোজা বলেন, আমার জামাইর বাড়ি শার্শার বালুন্ডা গ্রামে। সে আমার বাড়ি থাকার জন্য অনেকে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ঘরজামাই বলে টিটকারী করে।

ঘটনার শিকার ৫ম শ্রেনীর ওই ছাত্রী তাকে দির্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মশিউর রহমান বলেন, ঘটনার সত্যতা মেলায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহ ৪ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।