ঝালকাঠিতে পুরে যাওয়া অভিযান ১০ লঞ্চ আদালতের নির্দেশে মালিককে বুঝিয়ে দিল পুলিশ
সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪৭ জন নিহতের ঘটনার ৭ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে ১৩/০৮/২০২২ইং শনিবার দুপুরে লঞ্চটি মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে ঝালকাঠি থানা পুলিশ।
ঝালকাঠি থানার এসআই নজরুল ইসলাম সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কে লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখের কাছে লঞ্চটি বুঝিয়ে দেন। বলগেটের সঙ্গে বেঁধে মেরামতের জন্য লঞ্চটি নলছিটির দপদপিয়ায় নিজাম শিপিং ডকইয়ার্ডের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভোরে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪৭ জন মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটি জব্দ করে ঝালকাঠি থানা পুলিশ সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কে বেঁধে রাখা হয়।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চটি ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভোরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দেউরি-দিয়াকুল এলাকায় আসলে ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে আগুন লেগে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান লঞ্চের ৪৭জন যাত্রী। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশত মানুষ।
এ ঘটনায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর স্বজনহারা এক ব্যবসায়ী মনির হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি ঝালকাঠির আদালত থেকে ঢাকা নৌ-আদালতে বদলি করা হয়।
এ ঘটনায় লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখ গ্রেফতার হয়ে কিছু দিন জেল হাজতবাসের পর নৌ-আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তি পেয়ে হাম জালাল শেখ লঞ্চটি নিজ জিম্মায় নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। গত ২৪ জুলাই নৌ-আদালত মালিক পক্ষের কাছে লঞ্চটি হস্তান্তরের আদেশ দেন। সেই আদেশের কপি ঝালকাঠি থানায় আসে গত ২৬ জুলাই।
লঞ্চ মালিকের প্রতিনিধি মো. আবু হানিফ বলেন, অভিযান লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখ শনিবার সকালে ঝালকাঠি আসেন। তিনি থানা পুলিশের কাছে আদালতের কাগজপত্র দেখিয়ে লঞ্চটি বুঝে নেন।
লঞ্চটি মেরামতের জন্য দপদপিয়া নিজাম শিপিং ডকইয়ার্ডে নেওয়া হচ্ছে। মেরামত শেষ হলে ইঞ্জিন বসিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমান বলেন, ঢাকার নৌ-আদালতের নির্দেশনায় লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখের মুচলেকা রেখে লঞ্চটি পুলিশের জিম্মা থেকে অবমুক্ত করে মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।