![]()
সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার (সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা) মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে একাডেমীর নৈশপ্রহরী ও সংগীত শিল্পীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর কাছে একখানা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নৈশপ্রহরী ও শিল্পী মনির হোসেন মল্লিক। সে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমীতে (আউট সোর্সিংয়ে) নৈশপ্রহরী পদে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে।
মনির হোসেন মল্লিক লিখিত অভিযোগে জানান, গত ১৯ ০/০২/২০২১ইং তারিখ শিল্পকলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাসান ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে উপস্থিত অতিথি ও দর্শকদের নাস্তা দিতে বলেন। এতে সে নাস্তা দিতে শুরু করলে কালচারাল অফিসার মো. আল মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করে। উত্তেজনার এক পর্যায়ে সে মনিরের কাছে এসে চর-থাপ্পর মারে ও তার কাছে গচ্ছিত একাডেমী ভবনের ৪টি চাবি রেখে তাড়িয়ে দেয়।
এসময় শিল্পকলা একাডেমী ভবনের চারপাশে তাকে দেখলে হাত-পা গুড়িয়ে দিবেন বলে হুমকি দেয়। কালাচারাল অফিসারের এ কর্মকান্ড শিল্পকলা একাডেমী ভবনের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে বলে সে অভিযোগ করেন।
শিল্পী মনির হোসেন মল্লিক জানান, অভাব-অনটনের পরিবারে জন্ম নিলেও কিশোর বয়স থেকেই সংগীতের সাথে ভালবাসা শুরু হয়। প্রায় ২০বছর ধরেই বিভিন্ন ধরনের সংগীত পরিবেশন করে পেয়েছেন কয়েক ডজন পুরুস্কার। গানের বদৌলতে টেলিভিশনের সারেগামা অনুষ্ঠানে সেরা ১০জনের শিল্পীর মধ্যে স্থান পেয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবন উদ্বোধনের শুরু থেকে ৮বছর ধরে এখানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তার সাথে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা মো. আল মামুনের এহেন ব্যবহারের বিচার দাবী করে মনির। ঘটনার দিন সরকারী ছুটি থাকায় ২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা মো. আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনির মল্লিক নৈশ প্রহরী (আউটসোসিং) পদে কর্মরত। অথচ কয়েক দিন ধরে শিল্পকলার সামনের বাল্বসহ বেশ কিছু মালামাল খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। হলরুমের মধ্যে অনেক ময়লা-আবর্জনা পরে থাকলেও সে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেনা। এনিয়ে তাকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে বললে সে আমার মুখে মুখে তর্ক করে বাইরে চলে যায়। এখন সে বিভিন্ন স্থানে নালিশ করছে, যা নিয়ে আমি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, মনির মল্লিক নামে একজনের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

































