রেজাউল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: সন্ত্রাসীর ধরালো অস্ত্রে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও তার সঙ্গে থাকা আরেকজনকে কুপিয়ে যখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাপ্পি নামে একজনকে আটক করেছেন। রবিবার পৌনে ৩টার দিকে শহরের বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান। আহতরা হলেন: এনটিভির ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি লুৎফর রহমান মিঠু (৪৩) গোধুলি বাজার পাড়া এলাকার প্রয়াত আলাউদ্দীনের ছেলে এবং সে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। অন্যজন তার বন্ধু সাদেকুল ইসলাম সাদেক (৪২) শহরের হলপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ শহরের হলপাড়া এলাকার প্রয়াত নজরুল ইসলামের ছেলে বখাটে আবু সাঈদ বাপ্পিকে (৪৭) আটক করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, দুপুরে কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে করে বন্ধু সাদেকুল ইসলাম সাদেককে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। এসময় বাড়ির দরজার সামনে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বখাটে যুবক আবু সাঈদ বাপ্পি আকষ্মিকভাবে ধারালো চাপাতি দা নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। তাকে প্রতিরোধ করতে গেলে সে আমার কপালে ধারালো ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে যখম করে।
এসময় বন্ধু সাদেক বাঁধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে বখাটে বাপ্পি। পরে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক মিঠু ও তার বন্ধু সাদেককে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক মো: শিহাব বলেন, আহত সাংবাদিক মিঠুর কপালের ক্ষতস্থানে ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে ও তার বন্ধু সাদেকের হাতে আঙ্গুলে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে বখাটে আবু সাঈদ বাপ্পিকে আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক লুৎফর রহমান মিঠুর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী,অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ সহ জেলার সকল সাংবাদিকরা।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।