ঠাকুরগাঁও হরিপুরে বিজিবি-গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত কমিটির তদন্ত শুরু ।

Loading

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে গরু জব্দ করাকে কেন্দ্র করে বিজিবি-গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করেছে তদন্ত কমিটি ।

শনিবার বিকাল ৫টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট নুর কুতুবুল আলম।
স্বাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনে প্রকাশ্যে স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য ঘটনাস্থলে ৮ স্বাক্ষ্য প্রদানে রাজি হন এবং স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। যা কাগজে লিপিবদ্ধ করা হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহতের ঘটনায় আজ শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তদন্ত শুরু করা হলো। ঘটনাস্থল চারপাশ পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য এক এক করে গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও যারা গোপনে স্বাক্ষ্য প্রদানে ইচ্ছুক তাদের স্বাক্ষ্য গোপনে নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের পরিবারের মধ্যে যারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাদের স্বাক্ষ্য প্রথমে এবং এলাকার লোকজন যারা ঘটনা দেখেছেন তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। ঘটনাস্থলে স্বাক্ষ্য প্রদানে আগ্রহীদেরকে তালিকা নাম লেখানোর জন্য আহব্বান করেন তিনি।
তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের সময় তদন্ত কমিটির সদস্য হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমজে আরিফ বেগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল আলম, হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামানসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকাল ১১টার সময় বিজিবি’র প্রায় ১৫০ জন সদস্য মোটরসাইকেল ও গাড়ী নিয়ে এসে হরিপুরের বহরমপুর গ্রামের হবিবর রহমান ও জসিমকে ক্যাম্পে নিয়ে যান। তাদের কে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পর আবার পুনরায় গ্রামে দিয়ে যায় বিজিবি’র সদস্যরা।

হবিবর রহমান জানান, দুপুরে হঠাৎ বিজিবি এলাকায় প্রবেশ করে আমাকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। ক্যাম্পে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা শেষে আমাকে আবার পুনরায় গ্রামে দিয়ে যায় বিজিবি’র সদস্যরা।এর আগে নিহতদের লাশ পরিবারের হস্তান্তর করার পর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি ৩ দিনের মধ্য তদন্ত শেষ করে তার প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দিবেন। পাশাপাশি নিহতদের লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা নিহতদের পরিবারকে প্রদান করেন।

তদন্ত কমিটির অন্য ৬ জন সদস্য হলেন, পীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ঠাকুরগাঁও সেক্টর সদর দপ্তর বিজিবি’র সহকারী পরিচালক, ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর, হরিপুর থানার ওসি, স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ।