ঢাকা-২০, ধামরাই আসনের আ.লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ ব্যাপক ভাবে গণ সংযোগ,সভা ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। ধামরাই উপজেলা ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌর সভার কোন না কোন স্থানে গণ সংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। তিনি ধামরাইয়ের সাবেক এমপি ছিলেন।বর্তমানে ঢাকা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও বায়রার সভাপতি।ধামরাই প্রতিটি ত্রলাকায় আ.লীগ কর্মীরা উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে ফুলরে নৌকার প্রতীক দিয়ে বরণ করে নেয় তাদের প্রিয় নেতাকে।বিভিন্ন গণসংযোগ বক্তব্যে বেনজির আহমদ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আধুনিক ধামরাই উপজেলা হিসেবে রপান্তর করা হবে। আমার সময়ে ধামরাই উন্নয়ন হয়েছে। এবার আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসলে ধামরাই আরো উন্নয়ন হবে। আ.লীগ সরকার উন্নয়ন সরকার। তাই নৌকার মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন অ.’লীগকে। এতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে।এদিকে ধামরাই পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবীরের নেতৃত্বে প্রতিদিনি ব্যাপক গণ সংযোগ চালাচ্ছে ধামরাই পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ এখন সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। অব্যহত রাখতে ধামরাইয়ে তরুন ভোটারদের মাঝে নৌকায় ভোট দিতে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে।ধামরাইয়ের বিএনপি প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের। উপজেলার চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সাংসদ হওয়ার নানা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন, বরাদ্ধ প্রতীক ধানের শীষ। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগের বিষয়টি তিনি সঠিক নিয়মে পালন না করার আইনি জটিলতায় নির্বাচনি মাঠে অংশ গ্রহনের সুযোগ হারালেন। তাই দর্শক হয়ে গ্যালারীতেই থাকতে হচ্ছে আপতত।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের দখলে আসে এই আসনটি। ২০১৪ সালেও থেকে যায় আওয়ামীলীগের হাতে। তবে এবার জাতীয় একাদশ নির্বাচনে বিএনপি আসনটি পুনদ্ধারের স্বপ্ন। তবে শুরু তেই হোঁচট খেয়ে নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে হলো বিএনপিকে। আইনি জটিলতায় স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের। উচ্চ আদালতের রায়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সুযোগ রইলো না তার। ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আগের তুলনায় অনেকটাই শক্ত অবস্থান রয়েছে। এখন বিএনপি সমর্থন বা অবস্থান কি হবে? এটা নিয়ে ভাবছে আওয়ামীলীগ। পাশাপাশি অন্যান্য দলের প্রার্থী এই সুযোগটি কাজে লাগতে কাছে টানার প্রচেষ্টায় বিএনপি সমর্থকের।এখন ধামরাই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। নিরবতা বিরাজ করছে ধামরইয়ে বিএনপির মুল কার্যালয়টিতে। বেশীর ভাগ সময়েই অফিস কক্ষটি বন্ধ বা তালাবদ্ধ দেখা যায়।এছাড়াও ঢাকা -২০ আসনে আরো তিন জন প্রার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে আছেন জাতীয় পাট্রির লাঙ্গল মাকা নিয়ে সাবেক এমপি খান মোহাম্মদ ইস্রাফিল খোকন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির তারা মার্কা নিয়ে প্রার্থী হিসেবে আছেন এম এ মান্নান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হাত পাখা মার্কা নিয়ে আছেন আব্দুল মান্নান।ভোটের মাঠে স্থানীয়রা জনগণের মাঝে ভোট দেয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে, তাদের বক্তব্য যোগ্য ব্যাক্তি আর ধামরাইয়ের উন্নয়ন করবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দিবেন তারা।
নির্বাচন সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ বলেন, আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর বিশ্বাস রেখে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস নেতা কর্মীরা যে ভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরছেন। ধামরাই বাসি আমাকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করিয়ে এই আসনটি মাননীয় শেখ হাসিনাকে উপহার দিবে।