তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের ভাইদের হাতের মারধর খেয়ে চরমভাবে লাঞ্চিত হয়ে মতি হাওলাদার (২৫) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার নিশানবাড়ীয়ার জয়াল ভাঙা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মতি পার্শ্ববর্তী তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু মজিদ হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা গেছে, ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে পাচ বছর আগে সেখানে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে মতি। ২০১৮ সালের ফেব্রয়ারী মাসে তাদের এ সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়। এরই মধ্যে মতি পার্শ্ববর্তী ১৬ বছর বয়সী এক যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মতির সম্পর্কের কথা তার স্ত্রী জানতে পারলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায় মতির স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিয়ে শিশু কন্যাকে নিয়ে ঢাকা পিত্রালয় চলে যায়। এরপর পার্শ্ববর্তী (ময়ূরী নামের) এক যুবতীর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে মতি।
প্রেমের ঘটনাটি ওই যুবতীর পিত্রালয় জানতে পেরে ক্রধে শুক্রবার বিকেলে ময়ূরীর মেঝ ভাই দ্বীন ইসলাম (২২) ও ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম (১৮) এবং তাদের ঘনিষ্টজন পার্শ্ববর্তী আলাল মিয়ার পুত্র ফারুক (৩৫) পায়রা নদীর পাড়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ফরিদের ঘরে মতিকে ডেকে নিয়ে বেধরক মারধর করে।
এ ঘটনার পরপরই সন্ধ্যায় স্থানীয় জেলে মো.শহিদ মিয়া নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে নদীর পাড়ের একটি রেইনট্রি গাছের উচু ডালে মতির ঝুলান্ত লাশ দেখে স্থানীয়সহ পুলিশকে খবর দেয়।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান মিয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।