তালতলীতে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাছ বাণিজ্য
মৃধা শাহীন শাইরাজ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধঃ বরগুনা তালতলী বন বিভাগের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে উপজেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে গাছ। যার কারণে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র। সরকার নতুন বনায়ন ও সংরক্ষিত বন অঞ্চল রক্ষায় কোটি কোটি টাকা খরচ করেলেও এর কোন সুফল হচ্ছেনা এসব গুটি কয়েক অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালী বন বিভাগের আওতাধীন বরগুনার তালতলী রেঞ্জের নিশানবাড়িয়া নলবুনিয়া বিট হতে কতিপয় অসাধু বন কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় নিয়মিত কেওরা ও ঝাউ গাছ পাচার হচ্ছে। আর রাতের আধারে গাছ কেটে ট্রলার নিয়ে বনের এরিয়ার মধ্যেই স্ব মিলে কাটা হচ্ছে গাছ গুলো ।
আবার নদী পথে কলাপাড়া ও পৌছানো হচ্ছে
কখনো গাছ সহ বন কর্মচারীদের গ্রেফতার করছে প্রশাসন । আবার কখনো গাছ সহ ট্রলার আটকের পরেও টাকার বিনিময় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ।
এমনি একটি সংবাদ পেয়ে বুধবার দিবাগত রাত ১২,৩০ মিঃ নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নে নলবুনিয়া শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রে সৈকতে গেলে দেখা যায় ঝাউ গাছ সহ একটি ট্রলার আটক করেছে নিশান বাড়িয়া নলবুনিয়া বিট কর্মকর্তা সমির বাবু। এবং পরে স্থানীয় জাহাঙ্গীরের মধ্যেস্থ্যতায় ৩০,০০০ টাকার বিনিময় ট্রলার টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ জনগন ।এ বিষয় নিশান বাড়িয়া নলবুনিয়া বিট কর্মকর্তা সমির বাবুর কাছে ট্রলার আটকের পর কি করা হয়েছে এবং সিজার লিষ্টের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্ত বলে ফোনের লাইন টি কেটে দেন।
এ বিষয় বৃহস্পতিবার ট্রলার আটকের বিষয় উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি বলেন বিট অফিসার সমির বাবু এ বিষয় মামলা দায়ের করেছে আর ট্রলারটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
তবে এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি বলেন আমার জিম্মায় একটি ট্রলার দেওয়া হয়েছে।
এর কিছুক্ষন পরেই ৭ নং সোনাকাটা ২নংইউপি সদস্য সহিদ আকন মুট ফোন দিয়ে বলেন আপনার ব্যাবস্থা আমি করবো।আর ট্রলারের বিষয় কোন নিউজ না করতেও নিষেধ করেন তিনি ।
পরিবেশবিদ হাসান ঝন্টু বলেন, এভাবে যদি সংরক্ষিত বন অঞ্চল উজার হয়। তবে অচিরেই পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে তালতলীর সংরক্ষিত বন অঞ্চল। পর্যটন এলাকা থেকে হারিয়ে যাবে ।