বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধিঃ বেনাপোলে দশ লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করায়ও কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জোড়়পূর্বক ধর্ষন ও প্রাননাশের হুুমকি দেয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মোবাইল বাবুর বিরুদ্ধে বুধবার ২৬শে জুন বেনাপোল পোর্ট থানায় ৪৪৮ /৩৮৫/৫০৬(২) ধারায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী নিরীহ অসহায় সুখমনি।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় বাদী সুখমনির(২৫)স্বামী রুবেল হোসেন বেকার থাকায় বেনাপোল দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নিকট আত্মীয় নুররুজ্জামানকে চাকুরী খুজেঁ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে সে মামলার আসামী ভবারবেড় পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা নুর ইসলামের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (৩৫)ওরফে মোবাইল বাবুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
তারপর বাবু আমার স্বামী রুবেলের সাংবাদিক হলে ভালো ইনকাম হবে এই প্রলোভন দেখিয়ে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে জনতার কথা ২৪ ডট কম অনলাইনের একটি কার্ড করে দেন। পরে আরও ধার হিসেবে ২০ হাজার টাকা নেন।সুখমনি ও রুবেল পরে ধার করা অর্থ বাবুর কাছে ফেরত চাইলে ২০ হাজার টাকা ফেরত দুরে থাক উল্টো এখন তিনি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাসায় হেরোইন রেখে পুলিশে দেওয়ার পাশাপাশি আমাকে কু-প্রস্তাব দেওয়া হয়, তার এই শারিরীক কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করার হুমকি প্রদান করেন।
বাবুর এই অনৈতিক কার্যকলাপের ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেনাপোলের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের বিষয়টি অবগত করলে মোবাইল বাবু খুবই জগন্য মস্তিকের মানুষ তার বিচার করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তারা আমাকে সাফ জানিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তারা আমাকে যশোরে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার পরামর্শ দিলে সেই মোতাবেক আমি রবিবার ২৩শে জুন যশোর প্রেসক্লাবে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সামনে বাবুর এই জোড়জলুম, চাদাঁবাজি, হুমকি প্রদানকে কেন্দ্র করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করি।
সংবাদ সম্মেলন করার পর থেকে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ওরফে মোবাইল বাবু আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মেরে ফেলা সহ ধর্ষনের হুমকি দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বেনাপোল পোট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বেনাপোল বাসি সুত্রে আরো জানা যায়, বেনাপোলের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বেগী সেলিম বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার স্ত্রী আছমা এখন এই মোবাইল বাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী। নিহত সেলিমের স্ত্রী আছমা তিনিও মাদক ব্যবসায়ী। মোবাইল বাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী আছমার নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানাযায়। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে মোবাইল বাবু অবৈধ পথে ভারত থেকে চোরাই মোবাইল নিয়ে বেনাপোল বাজারস্থ নুর শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত দোকানে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)পুলিশ গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে ১০টি উন্নতমানের মোবাইলসহ বাবুকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছিল।
এদিকে সুকমনি এবং তার পরিবার প্রান ভিক্ষা চেয়ে সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল এর সাংবাদিকবৃন্দের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। সুকমনি এবং তার স্বামী রুবেলের একটি আবেদন প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় মোবাইল বাবুর নজরে আসে সে ক্ষিপ্ত হয়ে সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের প্রচার ও প্রকাশনা দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মোঃ রাসেল ইসলামকে সরাসরি প্রাননাশের হুমকি দেয়। হুমকির ঘটনাটি ক্লাবে পৌছালে ক্লাবের সম্মতিতে মোবাইল বাবুর বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় সাধারন ডায়েরী করে ভুক্তভোগী রাসেল ইসলাম। যাহার মামলার জিডি নং ১০৪০। তাং২৬/০৬/১৯ইং।
এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু-সালেহ মাসুদ করিম মামলার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।